চেয়ারম্যান সেলিম, ভাইস চেয়ারম্যান গতি

মতিউর রহমান মুন্না : নবীগঞ্জে শান্তিপূর্নভাবে ৫ম উপজেলা পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল রবিবার সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত উপজেলার ১১৫টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহন হয়। ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের লক্ষণীয় উপস্থিতি ছাড়াই শান্তি পূর্নভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়। সন্ধায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বেসরকারী ফলাফল অনুযায়ী চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে এডভোকেট গতি গোবিন্দ দাশ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা বেগমকে বিজয়ী ঘোষনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত নির্বাচন কর্মকর্তা আতাউল গণি ওসমানী।

এ ফলাফল অনুযায়ী নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্ধন্দ্বিতা করে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম (ঘোড়া প্রতীক)। তিনি পেয়েছেন ৪৭ হাজার ২শ ৩০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগের প্রার্থী এডভোকেট আলমগীর চৌধুরী (নৌকা প্রতীক) নিয়ে পেয়েছেন ২৬ হাজার ১শ ১৩ ভোট হাজার ভোট। এ ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী গাজী খালেদা সরোয়ার দোয়াত কলম প্রতীকে পেয়েছেন ৬ হাজার ২শ ৬৮ ভোট। আব্দুল হাই (কাপ পিরিচ) পেয়েছেন ২ হাজার ৬শ ২৪ ভোট, ইসলামী ঐক্যজোট মনোনীত প্রার্থী আবু সালেহ(মিনার) পেয়েছেন ৫শ ৩৪ ভোট, জাতীয় পার্টি মনোনীত হায়দর মিয়া (লাঙ্গল) পেয়েছে ২ শ ৫৭ ভোট।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে এডভোকেট গতি গোবিন্দ দাশ তালা প্রতীকে ২৮ হাজার ৮০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাজী ওবায়দুল কাদের হেলাল পেয়েছেন ২০ হাজার ২শ ৮৮ ভোট ও আবু ইউসুফ পেয়েছেন ১৪ হাজার ৭৪ ভোট। এ ছাড়াও শাহ আবুল খয়ের (উড়োজাহাজ) ১৩ হাজার ৬ শ ৪৩, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মুরাদ আহমদ (লাঙ্গল) পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৮ ভোট, ইসলামী ঐক্যজোট মনোনীত প্রার্থী মোস্তাক ফুরকানী (মিনার) প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৪৬ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নাজমা বেগম হাঁস মার্কায় ভোট পেয়েছেন ৪৯ হাজার ২শ ৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়ে ফের চমক দেখিয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ ছইফা রহমান কাকলী ফুটবল প্রতীকে পেয়েছেন ২৭ হাজার ৪ শ ৫১ ভোট এবং সাজেদা মজিদ নামের আরেক প্রার্থী কলস প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ৬শ ৩৮ ভোট।

এদিকে, সকালে ভোটার উপস্থিতি অনেকটা কম ছিল। ভোটারের অপেক্ষায় ছিলেন প্রার্থীদের এজেন্ট শুভাকাংখী ও প্রার্থীরা। প্রতিটি ভোট সেন্টারে শূন্য ভোটবাক্স নিয়ে বসে ছিলেন নির্বাচন সংশ্লিষ্ট র্কমর্কতারা। ফাঁকে ফাঁকে ২/৩ জন করে ভোটার এসে ভোট প্রদান করেন। পরে বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে থাকে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া অবস্থান। ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম নির্বাচিত হওয়ার খবরে উল্লাস প্রকাশ করছেন তার কর্মী সমর্থকরা। এদিকে দলীয় প্রার্থী হিসাবে ফ্লপ করেছেন জাতীয় পাটি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ হায়দর আলী তিনি জামানত হারানোর পাশাপাশি ১১৫ টি সেন্টারের মধ্যে ৩৩টি সেন্টারে তিনি শুন্য ভোট পান। তিনি সর্বমোট ভোট পান ২৫৭ ভোট।

(ওএস/এসপি/মার্চ ১১, ২০১৯)