শেখ আহসানুল করিম, বাগেরহাট : বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের বিলুপ্ত প্রজাতির একটি কচ্ছপ ‘বাটাগুর বাস্কা’ প্রথম বারের মতো ডিম পেড়েছে। সোমবার ভোরে করমজল প্রজনন কেন্দ্রে একপি বাটাগুর বাস্কা কচ্ছপ ৩২টি ডিম দেয়। সুন্দরবন বিভাগ এতথ্য নিশ্চিত করেছে।

বিলুপ্ত প্রজাতির বাটাগুর বাস্কা কচ্ছপ প্রকৃতিতে বংশ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১৪ সালে সুন্দরবনের করমজলে এ কচ্ছপ প্রকল্প গড়ে তোলে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা জু, আমেরিকার টাটেল ভাইভায়াবাল অ্যালাইনস, বাংলাদেশের বন বিভাগ এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন। ২০১৪ সালে মাত্র ৮টি কচ্ছপ দিয়ে বাটাগুর বাস্কা’র বংশ বৃদ্ধি ও জীবন আচারন সম্পর্কিত এই প্রকল্পের যাত্রা শুরু হয়।

পরবর্তীতে বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করা কচ্ছপগুলো করমজল প্রজনন কেন্দ্রে আনা হয়। বর্তমানে এই প্রজনন কেন্দ্রটিতে ১৮৩টি ‘বাটাগুর বাস্কা’ প্রজাতির কচ্ছপ রয়েছে। ইতিমধ্যে ৪টি বাটাগুর বাস্কা প্রজাতির কচ্ছপের পিঠে স্যাটালাইট ট্রান্সমিটার ডিভাইস লাগিয়ে সুন্দরবন ও বঙ্গোপসাগর মোহনায় ছেড়ে দেয়া হয়। এর মাধ্যমে বাটাগুর বাস্কা জীবন আচারন সম্পর্কিত তথ্য জানা সম্ভব হচ্ছে।

সুন্দরবনের করমজলের বাটাগুর বাস্কা’র বংশ বৃদ্ধি ও জীবন আচারন জানা সম্পর্কিত এই প্রকল্পের ম্যানেজার মো. আ. রব বলেন, পৃথিবী থেকেই বাটাগুর বাস্কা প্রজাতির কচ্ছপ অনেক আগে থেকেই বিলুপ্তি হয়ে গেছে। এক সময়ে ভারত, বার্মা ও বাংলাদেশে পাওয়া যেত এই বাটাগুর বাস্কা প্রজাতির কচ্ছপ। এখন তাও নেই। মুলত এ ধরণের কচ্ছপের প্রকৃতিতে প্রজননের মাধ্যমে বংশ বিস্তারই এ প্রকল্পের মুল লক্ষ্য। করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে একটি বাটাগুল বাস্কা ডিম পাড়ার মধ্য দিয়ে প্রকল্পের শতভাগ সফলতা এসেছে। ইনকিউভিটরে নিদৃষ্ট তাপমাত্রায় রেখে বাটাগুল বাস্কার এই ৩২টি ডিম ফোটানো হবে।

(এসএকে/এসপি/মার্চ ১১, ২০১৯)