রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : সীমান্ত অপরাধ দমনে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি ও বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স বিএসএফ একযোগে কাজ করবে  বলে ঐকমত্য প্রকাশ করেছে। এ ব্যাপারে তারা নিয়মিত সমন্বয় বৈঠকের মাধ্যমে অগ্রগতি পর্যালোচনা করবে বলেও একমত হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরার ভোমরা কাস্টমস হাউসের সম্মেলন কক্ষে বিজিবি ও বিএসএফএর সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ের এক সমন্বয় সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দুই দেশ বাংলাদেশ ও ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিজিবির খুলনা সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল আরশাদুজ্জামান ও কোলকাতা বিএসএফএর ডিআইজি রাজিবা রঞ্জন শর্মা।

বৈঠকের উদ্ধৃতি দিয়ে সাতক্ষীরার ৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্ণেল গোলাম মহিউদ্দিন খন্দকার জানান আলোচনায় ভারতীয় মাদকদ্রব্য বাংলাদেশে পাচারে সরকারের জিরো টলােেরন্স নীতি পূনর্ব্যক্ত করা হয়েছে। এ জন্য বিএসএফকে আরও কড়া অবস্থান নিতে হবে। এ ছাড়া অবৈধ অনুপ্রবেশরোধ, অবৈধ অস্ত্র পাচার এবং নারী ও শিশু পাচার রোধে দুই পক্ষই একমত পোষন করেছে।

ভারতীয়দের বরাত দিয়ে তিনি জানান চোরাচালানিরা প্রায়ই বিএসএফ সদস্যদের ওপর হামলা করে থাকে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে বিজিবি ও বিএসএফ আরও সতর্কতা অবলম্বন করবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ন পরিবেশে চারঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত এই সমন্বয় বৈঠকে বিজিবি ও বিএসএফ সীমান্তের অপরাধ দমনে নিজ নিজ ভূখন্ডে অবস্থান করে এক ও অভিন্ন লক্ষ্যে কাজ করে যাবে বলেও সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে।

পতাকা বৈঠকে বিএসএফএর ১২ জন এবং বিজিবির ২৬ সদস্য অংশ গ্রহন করেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন ৩৩ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল গোলাম মহিউদ্দিন খন্দকার, ১৭ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোস্তফা আসাদ ইকবাল, ৪৯ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্ণেল সেলিম রেজা, ২১ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্ণেল এমরানউল্লাহ সরকার ও রিভারাইন ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কমান্ডার মিল্টন। অপর দিকে বিএসএফর পক্ষে ছিলেন ক্যমান্ডান্ট শ্রী তরুনি কুমার থিউ, কমান্ডার শ্রী মনোজ কুমার বানোয়াল, কমান্ডিং অফিসার শ্রী জেএস সান্ধু, কমান্ডিং অফিসার শ্রী অরুন কুমার, কমান্ডিং অফিসার শ্রী সুরেন্দ্র সিং, কমান্ডিং শ্রী অফিসার রবি ভূষন ও কমান্ডিং অফিসার শ্রী বিজয় ডিমরি প্রমুখ।

(আরকে/এসপি/মার্চ ১২, ২০১৯)