ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান সেলিম হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে আরো ২ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ঈশ্বরদী চররূপপুর নলগাড়ী এলাকার মোস্তাক আহমেদের ছেলে ফারুক আহমেদ লিখন (৩২) ও নতুন রূপপুর (তিন বটতলা) এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে রাজিব (৩১)।

মঙ্গলবার রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ জানায়, পাকশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক বিশ্বাসের ছেলে রকি বিশ্বাসকে সেলিম হত্যা মামলায় গ্রেফতারের পর রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রকির স্বীকোরক্তি অনুযায়ী ১২ মার্চ রাত দেড়টার দিকে লিখন ও রাজিবকে ঈশ্বরদীর চরকুরুলিয়া হতে আটক করা হয়।

পুলিশর দাবী, আটককৃতদের তথ্য অনুযায়ী ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জহুরুল হকের নেতৃত্বে ১২ মার্চ রাত আড়াইটার দিকে রকি বিশ্বাসের বাড়ি সংলগ্ন আড্ডাখানায় অভিযান চালায়। এসময় লোহার তৈরি ছয় চেম্বার বিশিষ্ট ৫টি গুলি লোডেড একটি রিভালবার, লোহার তৈরি ৭.৬৫ পিস্তলের একটি ম্যাগজিন ও এক রাউন্ড গুলি, ১২ বোরের বন্দুকের সবুজ রংয়ের দুইটি তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।
ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জহুরুল হক জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদের মঙ্গলাবার আদালতে সোপর্দ করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে মঞ্জুর আনা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাত আনুমানিক নয়টার দিকে মুক্তিযোদ্ধা সেলিম মোটর সাইকেল যোগে নিজ বাড়িতে প্রবেশের সময় আঁততায়িদের গুলিতে আহত হয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারা যান। এঘটনায় নিহত সেলিমের ছেলে তন্ময় বাদি হয়ে অজ্ঞাতানামা আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে গত ১০ই ফেব্রুয়ারী সাবেক যুবলীগ নেতা ও পাকশী ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক বিশ্বাসের ভাতিজা আবদুল্লাহ আল বাকি ওরফে আরজু বিশ্বাস (৪৮) এবং গত ৭ই মার্চ পুত্র মোস্তাফিজুর রহমান রকি বিশ^াসকে (৩০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় এপর্যন্ত মোট ৪ জনকে গ্রেফতার করলেও হত্যাকান্ডের মোটিভ এখনও জানা যায়নি। পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকাবাসী ধারাবাহিকভাবে বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও পথসভা অনুষ্ঠিত করছে।

(এসকেকে/এসপি/মার্চ ১৩, ২০১৯)