রঞ্জন কৃষ্ণ পন্ডিত, টাঙ্গাইল : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রনদা প্রসাদ সাহা স্মারক স্বর্ণপদক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে আসছেন।

শেখ হাসিনার আগমনে সারা মির্জাপুরে বইছে উৎসবের আমেজ। চলছে মঞ্চ তৈরি ও সাজসজ্জার কাজ। প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করতে মনোজ্ঞ ডিসপ্লের জন্য প্রস্তুত ভারতেশ্বরী হোমসের শিক্ষার্থীরা। দলীয় নেতাকর্মীরাও আনন্দে উদ্বেলিত। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তৈরী করা হয়েছে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার সকালে কুমুদিনী ট্রাস্টের আয়োজনে ভারতেশ্বরী হোমসে রনদা প্রসাদ সাহা স্মারক স্বর্ণ পদক-২০১৯ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। স্বর্ণ পদক প্রাপ্তরা হচ্ছেন- জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর), হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী (মরণোত্তর), জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম এবং শিল্পী সাহাবুদ্দিন। কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ৮৬ তম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে এই স্বর্ণ পদক প্রদান করা হবে। পরে মির্জাপুরের কুমুদিনী হাসপাতাল পরিদর্শন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

ভারতেশ্বরী হোমসের কয়েকজন ছাত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের প্রতিষ্ঠানে আসবেন এটা আমাদের জন্য খুবই আনন্দের বিষয়। তাই বেশ কিছুদিন যাবত নিয়মিত প্রস্তুতি নিচ্ছি, যাতে প্রধানমন্ত্রীকে ভাল ডিসপ্লে দেখাতে পারি।

কুমুদিনী ট্রাস্টের পরিচালক একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ প্রতিভা মুৎসুদ্দি বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের চাওয়া ছিল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুমুদিনী কমপ্লেক্সে আসুক। সেই আশা পূর্ণ হচ্ছে। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। প্রতিভা মুৎসুদ্দি সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারযোগে বেলা ১১টায় কুমুদিনী কমপ্লেক্সে আসবেন। তার সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছে তার বোন শেখ রেহানা ও কয়েকজন মন্ত্রী। অনুষ্ঠান শেষে বিকেল ৩টায় তারা মির্জাপুর ত্যাগ করবেন।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষ্যে কুমুদিনী কমপ্লেক্সসহ পুরো মির্জাপুরে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, দানবীর রনদা প্রসাদ সাহা মানবতার কল্যাণে কুমুদিনী ট্রাস্টের এই প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭১ সালে রনদা প্রসাদ সাহাকে স্বাধীনতা বিরোধীরা ধরে নিয়ে হত্যা করে।

(আরকেপি/এসপি/মার্চ ১৩, ২০১৯)