রঞ্জন কৃষ্ণ পন্ডিত, টাঙ্গাইল : বুধবার (১৩ মার্চ) রাত আনুমানিক ১২টার দিকে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ ধ্বসের ঘটনায় ১৫ নির্মাণ শ্রমিক আহত হয়েছে। এ দুর্ঘটনার পর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নূরানী কন্সট্রাকশনের কাজ পরিচালনাকারী দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

ঘটনাস্থলে নূরানী কন্সট্রাকশনের ম্যানেজার আমিনুল ইসলামকেও খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে তাকে হাসপাতালের সামনে বসে থাকতে দেখা যায়। এরপর তার সাথে কথা বলার জন্য সেখানে খোঁজ করলে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে তাকে হাসপাতালের ৩য় তলার পশ্চিম পাশের বারান্দায় বসে থাকতে দেখা যায়। সেসময় তিনি তিনি আহত হয়েছেন কিনা প্রশ্ন করলে জানান, আমি আহত হইনি, সম্পূর্ণ সুস্থ আছি। কতজন আহত হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি উত্তর দিতে পারেন নি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সিরাজুল ইসলাম জানায়, নূরানী কন্সট্রাকশন নামে একটি কোম্পানি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ তলা মাল্টিপারপাস ভবনের নির্মাণ কাজ পায়। বুধবার (১৩ মার্চ) তারই দ্বিতীয় তলার ছাদ ঢালাইয়ের কাজ চলছিলো। রাত ১২টার দিকে হঠাৎ করে ছাদের পশ্চিম প্রান্তের উত্তর কোনা ভেঙ্গে পরে। ধ্বংসস্তুপের নীচ থেকে ফায়ার সার্ভিস এসে ১৮ জনকে উদ্ধার করে টাংগাইল সদর হাসপাতালে পাঠায়। পরে সেখানে তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং বাকী ১৫ জনকে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে তিনজনকে জরুরী ভিত্তিতে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, সাব-ঠিকাদারের সাথে কথা হয়েছে। নূরানী কন্সট্রাকশনের কারো সাথে কথা হয়নি।

টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, যেভাবে ছাদটি ধ্বসে পরেছে তাতে এস্কেভেটরসহ বিভিন্ন ভারী যন্ত্রপাতি ছাড়া ভিতরে উদ্ধার কাজ চালানো সম্ভব না। তাছাড়া ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের (নূরানী কন্সট্রাকশন) দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী এখানে নেই। তাই তাদের কাছ থেকেও সহযোগিতা নিতে পারছি না। আমরা পুলিশসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে এই ধরনের যন্ত্রপাতি চেয়েছি, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি পেলে উদ্ধার কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।

(আরকেপি/এসপি/মার্চ ১৩, ২০১৯)