জোটন চন্দ্র ঘোষ, হালুয়াঘাট, (ময়মনসিংহ) : ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার আমতৈল ইউনিয়নের সরচাপুর গ্রামে “মাদরাজী রাইস” বেগুনী পাতা লাল ধান নামে নতুন জাতের ধান চাষ করে কৌতূহলের জন্ম দিয়েছেন স্থানীয় কৃষক মাহাবুবুর রহমান। আবাদী মাঠে সবুজ পাতার বিপরিতে বেগুনী পাতা ধারণ করায় প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষজন এসে ধান দেখছেন।

হালুয়াঘাট-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে যে সমস্ত ব্যক্তিগণ যাতায়াত করেন তারা গাড়ি থেকে উপভোগ করেন এই ভিন্ন জাতের ভিন্ন রংয়ের ধান। এই ধান আবাদ করায় নানা মানুষের কাছে নানা প্রশ্নের সন্মুখ হতে হয় কৃষককে।

আমদানী করা এই ধানের বীজ কুমিল্লার এক ব্যক্তির নিকট থেকে সংগ্রহ করেন সরচাপুর গ্রামের কৃষক মাহাবুবুর রহমান। তিনি অল্প জমিতে চাষাবাদ করে স্থানীয় কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন। দূর-দুরান্ত থেকে আবাদী মাঠ দেখতে আসছেন কৃষকরা। ধানের আবাদী মাঠ দেখতে যেমন চমৎকার তেমনি এর স্বাদ ও ঘ্রাণ খুবই মধুর, ব্রি-২৯ ধানের মত এর ভাত অত্যন্ত সুস্বাদু এর গোঁড়া ও কান্ড মজবুত। সহজে হেলে পড়ে না, এই ধানের জাত ভিন্ন রঙের হলেও রোপন করার ক্ষেত্রে অন্যান্য জাতের বোরো ধানের মতই। শতাংশে এক মণেরও বেশি ধান উৎপাদন হবে।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও বিভিন্ন স্থান থেকে আগত কৃষকরা বলেন, এ ধরনের ধান আমরা আর দেখিনি। মাঠের মাঝে ভিন্ন রং ধারণ করায় ব্যাপক কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। চাষাবাদ ভাল হলে তারাও এই ধান চাষাবাদ করবেন। কৃষক মাহাবুবুর রহমান বলেন, ধানের আবাদী মাঠ দেখতে যেমন চমৎকার তেমনি এর স্বাদ ও ঘ্রাণ খুবই মধুর, ব্রি-২৯ ধানের মত এর ভাত অত্যন্ত সুস্বদু এবং এর গোঁড়া ও কান্ড মজবুত। সহজে হেলে পড়ে না, কোন পোকা মাকড়ে আক্রমণ করতে পারে না। এই ধানের জাত ভিন্ন রঙের হলেও রোপন করার ক্ষেত্রে অন্যান্য জাতের বোরো ধানের মতই। প্রতি শতাংশে এক মণেরও বেশি ধান উৎপাদন হবে বলে আশাব্যক্ত করেন।

উপজেলা কৃষি অফিসার সুলতান আহমেদ বলেন, ধানটা কৃষক নিজেই সংগ্রহ করে চাষ করেছেন। তিনি আবাদী মাঠ পরিদর্শন করেছেন। ব্রি-২৯ ধানের মতই প্রয়োজনীয় পরিচর্চা করছেন। যেহেতু ধানটি এই এলাকার জন্য নতুন তাই পুরোপুরি পর্যবেক্ষণে রাখছেন। ধানটির গুণগত মান ভাল হলে, এখান থেকে কৃষকরা নতুন কিছু পাবেন।

(জেসিজি/এসপি/মার্চ ১৩, ২০১৯)