স্টাফ রিপোর্টার : অগ্রণী ব্যাংকের গুণী গ্রাহক সম্মাননা পেলেন দেশের বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী প্রাণ-আরএফএলের গ্রুপের পরিচালক (কর্পোরেট ফাইন্যান্স) উজমা চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার নগরীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে ‘অগ্রণী ব্যাংকের বার্ষিক সম্মেলন-২০১৯’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের হাত থেকে সম্মাননা গ্রহণ করেন উজমা চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে অগ্রণী ব্যাংকের পক্ষ থেকে ভালো গ্রাহক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মোট ১৬ গুণী গ্রাহককে এ সম্মাননা দেয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছেন প্রাণ গ্রুপের পরিচালক উজমা চৌধুরী, বসুন্ধরা গ্রুপের আহমেদ আকবর সোবহান, এপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মনজুর এলাহী, সিটি গ্রুপের ফজলুর রহমান, নিটল-নিলয় গ্রুপের মাতলুব আহমাদ, নর্থইস্ট পাওয়ারের খুরশিদ আলম, নোমান গ্রুপের নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেডের আইয়ুব হোসেন, বিএসআরএমর আলী হোসেন, পিএইচপি গ্রুপের সুফি মিজানুর রহমান, ইস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, এসএমই উদ্যোক্তা নুরুন্নাহার বেগম, প্রাইম গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল ও সাধারণ গ্রাহক হিসেবে সম্মাননা লাভ করেন অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল ও মোহাম্মদ শাহজাহান।

অনুষ্ঠানে গুণী গ্রাহকদের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া তুলে ধরে প্রাণ গ্রুপের উজমা চৌধুরী বলেন, অগ্রণী ব্যাংক খুব সুন্দর সিস্টেম তৈরি করেছে। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলজুড়ে অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে আমাদের সেলস ও রিপ্রেজেন্টেটিভরা যে টাকা জমা দিচ্ছে, অনলাইনের মাধ্যমে তা মুহূর্তের মধ্যেই পেয়ে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, ২০০৩-২০০৪ সাল থেকে অগ্রণী ব্যাংকের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক। আমরা সে সম্পর্ক মধুর করতে চাই। আমাদের আগে তো খুব বেশি মূলধন ছিল না। কিন্তু অগ্রণী ব্যাংক আমাদের সে সুযোগ দিয়েছে। আমরা আর্থিকভাবে সুবিধা পেয়েছি। আমরা যাদের কাছ থেকে দুধ কিনি, তাদের সাপ্তাহিক পেমেন্ট করি ব্যাংকের মাধ্যমে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে বিভিন্ন চার্জ চলে আসছিল। বিষয়গুলো যখন আমরা ব্যাংকে জানালাম তখন সাতদিনের মাথায় সংশ্লিষ্ট সব অ্যাকাউন্টে চার্জ বন্ধ হয়ে গেল। এতে কী হলো, আমাদের যারা গরুর দুধ দেয়, সেসব ফার্মার লাভবান হলো। যারা গরু কিনে দুধ দিচ্ছিল। এমন ছোট ছোট খামারিদের আপনারা সাবলম্বী করার সুযোগ দিয়েছেন। আমরা দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছি। গ্রামে কর্মসংস্থান হলো, ব্যাংক তার সেবা প্রদানের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনও পেলো।

তিনি আরও বলেন, আমরা যখন প্রাইভেট ব্যাংকে যাই, সেখানে নানা ফরমালিটিজ মেইনটেইন করতে হয়। কিন্তু রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক হিসেবে লিগ্যাল কমপ্লায়েন্স রেডি করে নানা ধরনের সহযোগিতা করে তারা সেবাটা প্রদান করেন। এ সম্মানে আমরা লাভবান হয়েছি। রাষ্ট্রও লাভবান হয়েছে।

আমরা যে প্রজেক্টগুলো নিয়ে কাজ করছি, অগ্রণী ব্যাংক সেই প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে একসঙ্গে হাত মিলিয়ে আমাদের সহযোগিতা করতে এগিয়ে চলেছে। এরকম সহযোগিতা অন্য কোনো রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে পাইনি।

অগ্রণী ব্যাংক বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ ব্যাংকে পরিণত হবে বলে প্রত্যাশা করেন উজমা চৌধুরী।

অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলামসহ ব্যাংকের পরিচালকরা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্যাংকটির সিইও এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শামস্-উল ইসলাম।

(ওএস/এসপি/মার্চ ১৪, ২০১৯)