স্টাফ রিপোর্টার : সম্প্রতি ভূমি মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন দফতরগুলোর ১৭ হাজারেরও বেশি তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির সরকারি কর্মচারীর সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দেয়াকে এই খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে মনে করছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, সব মন্ত্রণালয়ের সব পর্যায়ের সরকার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের এই প্রক্রিয়ার আওতায় আনা না হলে সুফল পাওয়ার সম্ভবনা সুদূর পরাহত থেকে যাবেও বলে মনে করে সংস্থাটি।

আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংস্থাটি এমন দাবি জানানো হয়। এতে টিআইবির পরিচালক (আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন) শেখ মঞ্জুর-ই-আলমের স্বাক্ষর রয়েছে।

বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘শূন্য সহনশীলতা’র যে ঘোষণা দিয়েছেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের এই উদ্যোগ তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। পাশাপাশি এ কথাও মনে রাখতে হবে যে, মন্ত্রণালয়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর ওপর অর্পিত দায়িত্বেরই অংশ। আমরা ভূমিমন্ত্রীকে সাধুবাদ জানাই। কারণ তিনিই এই সরকারের প্রথম সদস্য যিনি এমন একটি উদ্যোগ নিলেন। তবে আমরা এখনো এই উদ্যোগের কার্যকারিতা ও সদিচ্ছার ব্যাপারে পুরোপুরি আশ্বস্ত হতে পারছি না। কারণ অন্যতম দুর্নীতিগ্রস্ত এই খাতটির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তারা এই প্রক্রিয়ার বাইরে থেকে গেছেন। অথচ তাদের বাদ দিলে পুরো প্রক্রিয়াটিই গ্রহণযোগ্যতা হারাবে।”

সেবা খাতে কার্যকর দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে গেলে সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল শুধু ভূমি মন্ত্রণালয় নয়, বরং সব মন্ত্রণালয়ের সব শ্রেণির কর্মকর্তাদের জন্য বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি তা নিয়মিত হালনাগাদ ও পরীবিক্ষণের ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক।

(ওএস/এসপি/মার্চ ১৪, ২০১৯)