কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে প্রতিবন্ধী স্কুল ছাত্রের ভাতার টাকা আত্মসাত করেছে এক স্কুলের প্রধান শিক্ষক। প্রতিবন্ধী স্কুল ছাত্র সোহাগ রানা (১৫) ও তার পিতা দাউদ আলী বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে ওই স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার পিপুলবাড়িয়া নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীর শারীরিক প্রতিবন্ধী ছাত্র সোহাগ রানার জন্য দৌলতপুর সমাজ সেবা অধিদপ্তর থেকে দু’বছর আগে প্রতিবন্ধীর ভাতার কার্ড সরবরাহ করা হয়।

সে অনুযায়ী প্রতি ৩ মাস পর পর ১৩৫০টাকা করে প্রতি চেক ওই স্কুলের প্রতিবন্ধী ছাত্রের জন্য প্রধান শিক্ষকের অনুকুলে প্রদান করা হয়।

প্রধান শিক্ষক আরেজুল ইসলাম প্রতিবন্ধী ওই স্কুল ছাত্রের ভাতার টাকা সোনালী ব্যাংক দৌলতপুর শাখা থেকে পর্যায়ক্রমে তা উত্তোলন করে সমুদয় অর্থ আত্মসাত করে।

বিষয়টি জানাজানি হলে প্রতিবন্ধী স্কুল ছাত্রের পিতা দাউদ আলী স্কুলের প্রধান শিক্ষক আরেজুল ইসলামের কাছে তার ছেলের ভাতার টাকা ফেরত চাইলে সে দিব দিচ্ছি করে গত ৬ মাস ধরে তাল বাহানা করে আসছে। শেষে টাকা আদায়ের কোন উপায় খুঁজে না পেয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের স্মরনাপন্ন হোন প্রতিবন্ধী স্কুল ছাত্র ও তার পিতা।

স্কুল ছাত্রের পিতা দাউদ আলী জানান, তার ছেলের জন্য বরাদ্দ প্রতিবন্ধী ভাতার ১২১৫০ টাকা আত্মসাত করেছে পিপুলবাড়িয়া স্কুলের প্রধান শিক্ষক আরেজুল ইসলাম। টাকা ফেরতসহ ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন প্রতিবন্ধী স্কুল ছাত্র সোহাগ রানার অসহায় দরিদ্র পিতা দাউদ আলী।

এ বিষয়ে জানতে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আরেজুল ইসলামের কাছে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তার মোবাইলফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

(কেকে/এইচআর/জুলাই ২৪, ২০১৪)