আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দু’টি মসজিদে বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় যে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে, তা মানসিক স্বাস্থ্যের স্বার্থেই না দেখার পরামর্শ দিয়েছেন দেশটির ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট (মনোরোগ বিশেষজ্ঞ) ড. ইয়ান ল্যামবি। বিশেষ করে শিশুদের এই ভিডি থেকে দূরে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুরের ঘটনাটির পর নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে এক বার্তায় খ্যাতনামা মনোবিদ ল্যামবি বলেন, ‘ভিডিওটি দেখবেন না। এটি দেখে কোনো লাভ হওয়ার বদলে আপনাকে ট্রমাক্রান্ত করবে। (সন্ত্রাসীর) পৈশাচিক আনন্দ একেবারে ভয়াবহ।’

এই ভিডিওটি টুইটার ও ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রথমে ছড়িয়ে পড়লেও পরে দু’টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমই তুলে নিতে শুরু করে। কিন্তু ঢাকার কয়েকটি টেলিভিশনে ভিডিওটি প্রচার হতে দেখা যায়।

ভিডিওটি দেখার ফলে যে প্রতিক্রিয়া মনস্তত্ত্বে হতে পারে তা তুলে ধরে ইউনিভার্সিটি অব অকল্যান্ডের সহযোগী অধ্যাপক ল্যামবি বলেন, ‘উদ্বেগ কাজ করবে, ঘর থেকে বেরোতে মন চাইবে না, দৈনন্দিন কাজে আগ্রহ চলে যাবে এবং ঘুম ব্যাহত হবে, যাতে মানিয়ে নেওয়া যাবে না নিজেকে।’

ভিডিওটি বিশেষ করে শিশুদের ভোগাবে বলে সতর্কতা দিয়ে তিনি বলেন, ‘এই ঘটনায় শিশুদের ঘুম ব্যাহত হবে। অন্ধকার দেখলেই ভয় পাবে এবং খাবার খেতে চাইবে না। তাই তাদের স্বাভাবিক করার জন্য সবচেয়ে ভালো মানসিক সহায়তা দিতে হবে।’

নৃশংস হত্যাকাণ্ডটির বিষয়ে শিশুরা প্রশ্ন করলে তাদের বয়স ও মানসিক সক্ষমতা বিচার করে যতখানি সংবেদনশীলতা দেখিয়ে বলা যায়, ততই ভালো হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তবে যত কম করে বলা যায়, ততই ভালো বলেও জানান তিনি।

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডডার্ন জানিয়েছেন, ওই হামলায় ৪০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এদের মধ্যে ডিনস ডিনস অ্যাভ মসজিদে প্রাণ হারিয়েছেন ৩০ জন। লিনউড মসজিদে প্রাণ গেছে ১০ জনের। হামলাটিকে ‘নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে অন্ধকার দিনগুলির মধ্যে’ একটি বলে অভিহিত করেছেন তিনি।

এই ঘটনায় নিউজিল্যান্ডের পাশের দেশ অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম সুফিউর রহমান জানান, নিহতদের মধ্যে দুই বাংলাদেশিও রয়েছেন। এদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

(ওএস/এসপি/মার্চ ১৫, ২০১৯)