উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : বিশ্বব্যাপী আইসিটি অবকাঠামো ও স্মার্ট ডিভাইস সরবরাহকারী শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে ২০১৮ সালে বাংলাদেশে তাদের মোট ক্রয়ের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। 

তাতে দেখা যায়, শুধু বাংলাদেশের বাজার থেকেই তারা মোট ২৯.৩ মিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ পণ্য ও সেবা কিনেছে। আর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলর জন্য সেই পরিমাণটা ৬০৮ মিলিয়ন ডলার। ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এ অঞ্চলে ক্রয়কৃত মোট মূল্য ২.০৯ বিলিয়ন ডলার। সমন্বিতভাবে সার্বিক প্রশাসনিক সেবা, প্রকৌশল পরিষেবা ও পণ্য ক্রয়ের মোট পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে ।

২০১৯ সালে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের জন্য এই বাজেট ৬৫২ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বাড়তে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই সম্ভাবনাময় পরিসংখ্যানটি ব্যাংককের কনরাড হোটেলে হুয়াওয়ের ২০১৯ এসইএ কোর পার্টনার সম্মেলন চলাকালে প্রকাশ করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানের মূল বিষয়বস্তু ছিল “উন্মুক্ততা, স্বচ্ছতা, সাফল্য ভাগাভাগি করার জন্য পারস্পরিক সহযোগিতা।” এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের ৪০০টিরও বেশি প্রতিনিধিকে সম্মিলিত করেছে যারা এক হাজার ৯০০ এরও বেশি পণ্য ও সেবা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করেন। এই প্রতিনিধিরা বিভিন্ন শিল্পখাত যেমন উৎপাদন, সরবরাহ, প্রকৌশল পরিষেবা, এন্টারপ্রাইজ নেটওয়াার্ক, বিপণন ইত্যাদির প্রতিনিধিত্ব করেন।

গত তিন বছরে হুয়াওয়ের সহযোগিতায় এক হাজার ৯০০-এর বেশি সহযোগী ৪৫ হাজারেরও বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে পেরেছে। এই অঞ্চলে এক লাখ ২৫ হাজারেরও বেশি টেলিকম প্রকৌশলীকে প্রশিক্ষিত করা হয়েছে যাদের মধ্যে ৯৮ হাজারেরও বেশি প্রকৌশলী পেশাদার সার্টিফিকেট পেয়েছেন। হুয়াওয়ে তার মূলধারার অংশীদারদের জন্য তিনশ’টিরও বেশি কোয়ালিটি সিস্টেম পরিদর্শন সম্পন্ন করেছে যা ১৩০টিরও বেশি কোম্পানিকে আইএসও বা অন্যান্য প্রাসঙ্গিক সার্টিফিকেট পেতে সহায়তা করেছে।

হুয়াওয়ের সাউথইস্ট এশিয়া অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট জেমস উ বলেন, “দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া একটি উদীয়মান বাজার এবং এই অঞ্চলটি একটি শক্তিশালী পরিচালক যা উদ্ভাবন ও ব্যবসাকে সংযুক্ত করে। হুয়াওয়ে এবং তার অংশীদাররা একে অপরের পরিপূরক। শিল্পক্ষেত্রে মূল্যবান ভূমিকা রাখা এবং পারষ্পরিক সহযোগিতা নিশ্চিত করার মধ্যেই আমাদের ভবিষ্যৎ রয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, “আমাদের সবার একটিই লক্ষ্য। আর তা হলো, একটি সম্পর্ণরূপে সংযুক্ত ও বুদ্ধিমান বিশ্বের জন্য প্রতিটি ব্যক্তি, বাসস্থান ও প্রতিষ্ঠানকে ডিজিটাল সেবার আওতায় নিয়ে আসা। এই লক্ষ্যটি বাস্তবায়ন করার জন্য হুয়াওয়ে তার সমস্ত অংশীদারদের সাথে একটি বাস্তবসম্মত ইকোসিস্টেম নির্মাণের জন্য কাজ করতে ইচ্ছুক, যা উন্মুক্ত সহযোগিতা, বৈচিত্র্য ও সহনশীলতার ভিত্তিতে গড়ে ওঠে।”

২০১৯ হলো ফাইভজি’র বছর। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় আইসিটি অবকাঠামো হিসেবে ৫জি ১.২ ট্রিলিয়ন ডলারের বাজার তৈরি করবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়, এমন ধারণা কয়া হচ্ছে। এই অঞ্চলে ফাইভজি গ্রাহকের সংখ্যা ৮০ মিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে, ইন্টারনেট ট্রাফিক পাঁচ গুণ বৃদ্ধি পাবে, ২০টির অধিক শহর আধুনিকায়িত হবে এবং ওয়্যারলেস, ডিজিটাল ও বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক উপাদানগুলো সামাজিক উৎপাদনশীলতাকে গড়ে চার থেকে আট শতাংশ বৃদ্ধি করবে।

বক্তব্যের শেষে জেমস উ বলেন, “ফাইভজির ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানীয় হিসেবে হুয়াওয়ের সাথে অংশীদারিত্ব অনেকটা পরবর্তী গন্তব্যের প্রথম বাস ধরার মত। হুয়াওয়ে ২০ বছর ধরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কাজ করেছে। আমাদের সকল অংশীদারদের তাদের দারুণ সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানাই। আমরা বিশ্বকে বল

(পিআর/এসপি/মার্চ ১৫, ২০১৯)