আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলার স্বাধীন তদন্ত করবে জাতিসংঘ। স্বাধীন তদন্ত শুরু করতে বুধবার ভোট গ্রহণ করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান নাভি পিল্লাই কাউন্সিলের এক জরুরি বৈঠকে গাজায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলাকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য করা হতে পারে এমন সতর্ক করার কয়েক ঘন্টা পর জেনেভাতেই এই ভোটগ্রহণ করা হয়।

ফিলিস্তিনের আহ্বানের জের ধরে একটি খসরা প্রস্তাবের আওতায় কাউন্সিলের ৪৭ সদস্য এই ভোটে অংশ নেন। ভোটাভুটিতে পর্যবেক্ষকের ভূমিকায় ছিল জাতিসংঘ। ২৯ টি দেশ ভোট দিয়েছে স্বাধীন তদন্তের পক্ষে। ১৭ টি দেশ ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল যার মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনেকগুলো দেশ রয়েছে। স্বাধীন তদন্তের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে কেবল যুক্তরাষ্ট্র।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যলয় বিবৃতিতে জাতিসংঘের স্বাধীন তদন্তের সিদ্ধান্তকে হাস্যকর অনুকরণ বলে মন্তব্য করেছে। গাজায় অব্যাহত হামলায় বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের রক্ষা করতে ইসরায়েল নজিরবিহীন ভূমিকা রেখেছে বলেও ওই বিবৃতিতে দাবি করা হয়।

এদিকে ১৬ দিন পেরিয়ে গেলেও হামাসের ইসরায়েলের ভূখন্ড লক্ষ্য করে রকেট হামলার অভিযোগে গাজা উপত্যকায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। অব্যাহত হামলায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৭১৫ জন ফিলিস্তিনি। যাদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। অপরদিকে এই সময়ে ইসরায়েলের ভূখন্ডে হামাসের ছোড়া রকেটের আঘাতে নিহত হয়েছেন ২ জন বেসামরক নাগরিক ও গাজায় নিহত হয়েছেন ৩২ ইসরায়েলি সেনা।

গাজার দক্ষিণপূর্বাঞ্চল লক্ষ্য করে বুধবার হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। বুধবারের হামলায় ১৭ জন নিহত হয়েছেন।

এদিকে ফিলিস্তিনের সঙ্কট সমাধানে বুধবারেও কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চলেছে। কূটনৈতিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে মার্কিন পররারাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এরপরেও যুদ্ধবিরতির অচলাবস্থা দূর হওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখা যায় নি।

এদিকে গাজায় ইসরায়েলি অবরোধ তুলে না নিলে হামাস কখোনই অস্ত্রবিরতির পরিকল্পনায় রাজি হবে না বলে কাতারে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন হামাসের রাজনৈতিক নেতা খালিদ মেসাল। ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর প্রথমবারের মতো মন্তব্য করলেন খালিদ মেসাল।

অপরদিকে অবরোধ প্রত্যাহারের শর্তে অস্ত্রবিরতিতে সম্মতি জানাতে আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। বরং দুই দফায় সঙ্কটের সমাধানে আগ্রহী ইসরায়েল। প্রথমে অস্ত্র বিরতি ও এরপরে অবরোধ শিথিল করার বিষয়ে আলোচনায় আগ্রহী ইসরায়েল। সূত্র: আল জাজিরা

(ওএস/এইচআর/জুলাই ২৪, ২০১৪)