আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ১৬তম লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে যে তিক্ততা তৈরি হয়েছিল। বিজেপি ক্ষমতায় আসার দু’মাসের মাথায় সেই তিক্ততাকে কমিয়ে আনার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। মোদির সঙ্গে  দেখা করতে মমতা দিল্লি আসবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পরে সব রাজ্যের এমনকি মোদির ঘোর বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীরা মোদির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। ব্যতিক্রম ছিলেন শুধু মমতা। রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত সচিব প্রদ্যোৎ গুহের ছেলের বিয়েতে যোগ দিতে ৩ আগস্ট দিল্লি আসবেন মমতা। পরের দিনও রাজধানীতে থাকবেন তিনি। ওই দিনই মোদি-মমতা সাক্ষাৎ করানোর একটা তোড়জোড় শুরু হয়েছিল। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে ৩ আগস্ট সম্ভবত দিল্লি আসছেন না মমতা। তবে বিশ্বস্ত সূত্রের মতে, মোদির সিঙ্গাপুর সফর শেষে দেশে ফেরার পরেই হতে পারে দু’জনের মধ্যে বৈঠক।

মমতা মনে করছেন, প্রধানমন্ত্রীকে বয়কট করাটা ভুল রাজনীতি। বামপন্থীদের মুখে দীর্ঘদিন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিমাতৃসুলভ আচরণের অভিযোগ শুনতে শুনতে রাজ্যের মানুষ দিশেহারা। ফলে শুরু থেকেই কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতে যাওয়াটা তারা ভাল চোখে দেখবে না। তাই শুরুতে রাজ্যের দাবি দাওয়া আদায়ের জন্য কেন্দ্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা জরুরি।

আর মোদি তো বরাবরই রাজ্যগুলির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলার পক্ষপাতী। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার আগেই তিনি বলেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে চান তিনি। রাজ্যের জন্য তার কিছু পরিকল্পনাও রয়েছে। এখন কেন্দ্রের সাহায্য গ্রহণ করা হবে কি না, তা রাজ্য সরকারকেই ঠিক করতে হবে।

তাছাড়া মমতার সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে মোদির দৃষ্টিভঙ্গি, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমি যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব আলোচনায় বসতে চাই। রাজনীতি রাজনীতির জায়গায় থাকবে।

বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস নেতারাও চান মোদি-মমতা সুসম্পর্ক হোক। সেটা কত দ্রুত তৈরি হয় সেটাই এখন দেখার বিষয়। সূত্র: আনন্দবাজার

(ওএস/এইচআর/জুলাই ২৪, ২০১৪)