স্টাফ রিপোর্টার : গত সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সবকটি মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে দর হারিয়েছে লেনদেন হওয়া সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। এরপরও ডিএসই’র সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) বেড়েছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবস লেনদেন হয়। এর মধ্যে তিন কার্যদিবসে দরপতন হওয়ায় ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে।

এতে কমেছে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্সসহ বাকি দুটি সূচক। অবশ্য বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার মধ্যেও ডিএসইতে গ্রামীণফোন ও ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো বাংলাদেশসহ বড় বাজার মূলধনের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়েছে।

বাজার মূলধনে বড় ভূমিকা রাখা এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার প্রভাবে বেড়েছে ডিএসইর পিই রেশিও। গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১৬ দশমিক শূন্য ৭ পয়েন্টে। যা সপ্তাহ শেষে ১৬ দশমিক ৩৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ ডিএসইর পিই রেশিও আগের সপ্তাহের তুলনায় দশমিক ৩২ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৯৯ শতাংশ বেড়েছে।

খাত ভিত্তিক তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, সব থেকে কম পিই রেশিও রয়েছে ব্যাংক খাতের। সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ১০ দশমিক ৪৭ পয়েন্টে। এর পরেই রয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি। এ খাতের পিই ১২ দশমিক ৮৮ পয়েন্টে।

এ ছাড়া বীমা খাতের ১৩ দশমিক ৪৫ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ১৪ দশমিক ৪০ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতের ১৫ দশমিক ৩৭ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ১৬ দশমিক ২১ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ১৬ দশমিক ৫০ পয়েন্টে, চামড়া খাতের ১৭ দশমিক ২৪ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ১৮ দশমিক ৪৭ পয়েন্টে, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ১৮ দশমিক ৮৭ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৯ দশমিক ৬৫ পয়েন্টে এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ১৯ দশমিক ৯৮ পয়েন্টে পিই অবস্থা করছে।

বাকি খাতগুলোর পিই ২০-এর ওপরে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আর্থিক খাতের ২৩ দশমিক ৬১ পয়েন্টে, খাদ্য খাতের ২৭ দশমিক ৭০ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ২৯ দশমিক শূন্য ৫ পয়েন্টে, কাগজ খাতের ৩৩ দশমিক ৫৭ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ৩৪ দশমিক ৯২ পয়েন্টে এবং পাট খাতের ৬৮০ দশমিক ৩৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

(ওএস/এসপি/মার্চ ১৬, ২০১৯)