ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : আগামী সোমবার (১৮ মার্চ) ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে খোদ আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। ‘নৌকা’ প্রতীক পেয়ে মাঠে রয়েছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, জেলা কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নুরুজ্জামান বিশ্বাস। আর শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হয়ে নির্বাচনী মাঠে ‘আনারস’ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মকলেছুর রহমান মিন্টু। 

নির্বাচনী মাঠে উভয়পক্ষই তাঁদের শক্তিশালী অবস্থানের জানান দিচ্ছেন বেশ শক্ত ভাবেই। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। নির্বাচনী সভাগুলোতে একে-অপরকে ঘায়েল করে বক্তব্য দেয়ায় নির্বচনী মাঠ কখনও কখনও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। তবে সহিংসতা এড়াতে প্রশাসনের তৎপরতা পরিলক্ষিত হচ্ছে।

নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিয়ে মাঠে নেমেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব নায়েব আলী বিশ্বাস, সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা চান্না মন্ডল, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ মিন্টু, সাধারণ সম্পাদক ইসাহক আলী মালিথা, স্বেচ্ছাসেবকলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম লিটনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

অপরদিকে আনারস প্রতীকের প্রার্থী মকলেছুর রহমান মিন্টু’র সাথে রয়েছেন কয়েকটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক, ইউপি চেয়ারম্যান এবং উপজেলা ও পৌর যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ। কেন্দ্রীয়ভাবে নৌকার বিরুদ্ধে দলীয় অন্য কেউ প্রার্থি হওযার ক্ষেত্রে কোন বাধা-নিষেধ না থাকায় তাঁরা প্রকাশ্যেই আনারস প্রতীকের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করছেন। যেকারণে সাধারণ ভোটাররা পড়েছেন দ্বিধাদ্বন্দ্বে।

এবারের নির্বাচনে বিএনপি’র স্থগিত উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি আতিয়ার রহমান মোটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হলেও জোড়ালো ভাবে প্রচার-প্রচারণা দেখা যাচ্ছে না। বিএনপি’র উপজেলা ও পৌর স্থগিত কমিটির কোন নেতা-কর্মীকে তাঁর পক্ষে ভোট প্রার্থনা করতে দেখা যায়নি। এছাড়াও মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে দোয়াত-কলম প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এদিকে পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে আসাদুজ্জামান খান রিপন ‘টিউবওয়েল’ , আব্দুস সালাম খান ‘মাইক’, ময়নুল ইসলাম লাহিড়ী মিন্টু ‘তালা’, আব্দুর রহমান মিলন ‘উড়োজাহাজ’, মেহেদী হাসান লিখন ‘বৈদ্যুতিক বাল্ব’, আজিজুর রহমান চঞ্চল ‘টিয়াপাখি’, নায়েক আব্দুল কাদের ‘চশমা’ এবং ইমরুল কায়েস দ্বারা ‘বই’ প্রতীক নিয়ে মোট ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা সম্পাদক মাহজেবীন শিরিণ পিয়া ‘ফুটবল’, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম ‘সেলাই মেশিন’ , আতিয়া ফেরদৌস কাকলী ‘ কলস’, সাবিনা ইয়াসমিন ‘হাঁস’, জান্নাতুল ফেরদৌস রুনু ‘সিলিং ফ্যান’, সুমাইয়া সুলতানা হ্যাপী ‘পদ্মফুল’ প্রতীক নিয়ে মোট ৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ফেরদৌস আরা বেবী প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রত্যাহার করে মাহজেবীন শিরিণ পিয়ার ‘ফুটবল’ প্রতীকে সমর্থন দিয়েছেন।

এবারের নির্বাচনে উপজেলার ৮৪টি ভোট কেন্দ্রের ৫৬৫টি বুথে ভোট গ্রহন করা হবে। মোট ভোটার সংখ্যা ২,৪৩,৪০৫ জন।

(এসকেকে/এসপি/মার্চ ১৬, ২০১৯)