কক্সবাজার প্রতিনিধি : টেকনাফে বিজিবি’র সাথে ইয়াবা ব্যবসায়ীর বন্দুক যুদ্ধের ঘটনায় বিজিবি বাদি হয়েছে পৃথক আইনে ৩ টি মামলা দায়ের করেছেন। ওই ৩ মামলায় গুলিবিদ্ধ ইয়াবা ব্যবসায়ী নাজির হোসেন ছাড়াও ৩ জনকে পলাতক আসামী করা হয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, বিজিবি’র টহল দলের উপর আক্রমন ও অস্ত্র আইনে এ মামলা ৩ টি দায়ের করা হয়।

এতে পলাতক আসামীরা হল, টেকনাফের মৌলভীপাড়ার মৃত এখলাছ মিয়ার পুত্র আবুল কাশেম (৩১), মৃত নুরুল হকের পুত্র আব্দুল গণী (৩১) ও হাজি ফজল আহমদের একরাম হোসেন (৩০)।

বিজিবি’র টেকনাফস্থ ৪২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল আবুজার আল জাহিদ জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে বিজিবি’র একটি টহল দল মৌলভীপাড়াস্থ নাফনদীর মোহনায় পৌঁছলে ৬/৭ জনের একটি দল দেখে তল্লাশীর চেষ্টা করলে। এসময় বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ করলে বিজিবি সদস্যরাও ৩ রাউন্ড গুলি করে। এরপর ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ইয়াবা ব্যবসায়ী টেকনাফ সদর ইউনিয়নের লম্বরী এলাকার মৃত সিরাজ মিয়ার পুত্র নাজির হোসেন আটক করা হয়। এসময় আহত হন বিজিবি’র টেকনাফস্থ ৪২ ব্যাটালিয়নের লেন্সস নায়েব আবদুর রাজ্জাক ও সিপাহী মোবারক হোসেন। উদ্ধার করা হয় ৯ হাজার ৮ শত ইয়াবা, একটি এলজি বন্দুক, এক রাউন্ড গুলি ও একটি কিরিচ। এব্যাপারে বিজিবি বাদি হয়ে টেকনাফ থানায় মামলা ৩ টি দায়ের করা হয়।

টেকনাফ থানা ওসি মোক্তার হোসেন জানিয়েছেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন, বিজিবি’র টহল দলের উপর আক্রমন ও অস্ত্র আইনে এ মামলা ৩ টি লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। পলাতকদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য, গত মার্চ ও এপ্রিল মাসে ইয়াবা বিরোধী বিশেষ অভিযানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে বন্দুক যুদ্ধে ৬ জন ইয়াবা শীর্ষ ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরো ৮ জন। এর পর ইয়াবার পাচার কিছুটা রোধ হলে আবারো বাড়তে শুরু করেছে।

(টিটি/অ/জুলাই ২৩, ২০১৪)