বাগেরহাট ও মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি : বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে জানালার গ্রিল খুলে ঘুমান্ত মা-বাবার কোল থেকে মুক্তিপনের দাবীতে আড়াই মাসের শিশু আব্দুল্লাহকে অপহরণের ৭ দিন পরে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এই অপহরন ঘটনার মূল হোতা গুলিশাখালী গ্রামের হৃদয় চাপরাশীর (২০) স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে আজ (রবিবার) দুপুরে মোরেলগঞ্জ উপজেলার বিশারীঘাটা গ্রামের কাচারিবাড়ি এলাকার একটি মৎস্য খামারের টয়লেটের শেফটি ট্যাংকের ভেতর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।

লাশ উদ্ধারের সময় মোরেলগঞ্জ সাকের্লের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রিয়াজুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান, মোরেলগঞ্জ থানার ওসি কেএম আজিজুল ইসলাম, বাগেরহাট জেলা ডিবি পুলিশের ওসি মো. রেজাউল ইসলাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন। শিশু আব্দুল্লাহর লাশ উদ্ধারের পরে তার পিতা বিশারীঘাটা গ্রাামের দলিল লেখক মো. সোহাগ হাওলাদার সন্তানের লাশ সনাক্ত করেন। এ সময় এলাকার শতশত উৎসুক জনতা ঘটনাস্থলে ভিড় করেন।

মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম জানান, গত রবিবার দিবাগত রাত ৩ টার দিকে মোরেলগঞ্জের বিশারীঘাটা গ্রাামের দলিল লেখক সোহাগ হাওলাদারের আড়াই মাস বয়সী ছেলে আব্দুল্লাহকে জানালার গ্রিল খুলে ঘুমন্ত মা-বাবার কোল থেকে অপহরন করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে মোবাইল ফোনে দশ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে দর্বৃত্তরা। ওই দিনই অপহৃত শিশুটির পিতা বাদী হয়ে মোরেলগঞ্জ থানায় অজ্ঞাত অপহরনকারীদের নামে মামলা দায়ের করে।

অপহরনকারীদের মুক্তিপনের দাবীতে করা মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশ ও পিবিআই’র কয়েকটি টিম শিশুটিকে উদ্ধারে অভিযানে নামে। পর্যায়ক্রমে পুলিশ এ অপহরনকারী চক্রের ৬ জনকে আটক ও অপহরনে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে।

সর্বশেষ গতকাল শনিবার রাতে বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাগেরহাট পিবিআই’র একটি দল ঢাকা থেকে এই অপহরন ঘটনার মূল হোতা হৃদয় চাপরাশীকে আটক করে। তার স্বীকারোক্তি ও দেখানো স্থান থেকে রবিবার দুপুরে বিশারীঘাটা গ্রামের কাচারিবাড়ি এলাকার একটি মৎস্য খামারের টয়লেটের শেফটি ট্যাংকের ভেতর থেকে পুলিশ শিশু আব্দুল্লাহর লাশ উদ্ধর করা হয়। শিশুটির লাশ ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মূল ঘাতক হৃদয় চাপরাশীসহ এই অপহরনের সাথে জড়িত ৭ জনকেই পুলিশ আটক করেছে।

(এসএকে/এসপি/মার্চ ১৭, ২০১৯)