নওগাঁ প্রতিনিধি : আগামীকাল সোমবার দ্বিতীয় ধাপে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নওগাঁর সদর উপজেলা ছাড়া ১০টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ বা গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলো চিহ্নিত করে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে জেলা ও পুলিশ প্রশাসন। 

এদিকে রবিবার দুপূরে উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে নির্বাচনী সরঞ্জামাদি বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রাণীনগর ও মান্দা উপজেলায় ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের সংখ্যা বেশি। এই দুই উপজেলায় ১৫টি করে কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার ১১ উপজেলার মধ্যে সদর আসনে একক প্রার্থী থাকায় বিনা প্রতিন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। বাঁকি ১০টি উপজেলার ৬শ’ ০৮টি কেন্দ্রে ৪ হাজার ৫শ’ ৭৫টি বুথে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বিগত নির্বাচনে জেলার ভোটকেন্দ্র গুলোর পরিস্থিতি ও সরেজমিন খোঁজ খবর নিয়ে ১২৩টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে শনাক্ত করেছে স্থানীয় প্রশাসন। সাধারণ ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪৮৫টি। এসব কেন্দ্রে প্রশাসন বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

জেলার নিয়ামতপুর, বদলগাছী ও পতœীতলায় ১৩ টি করে, ধামইরহাট ও আত্রাইয়ে ১২টি করে এবং মহাদেবপুর, পোরশা ও সাপাহারে ১০টি করে কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। প্রতিটি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে একজন উপ-পরিদর্শক (এসআই), একজন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ও একজন পুলিশ সদস্য থাকবে। সাধারণ কেন্দ্রগুলোতে একজন এএসআই ও একজন পুলিশ সদস্য থাকবে। আরো থাকবে আনসার-ভিডিপি সদস্যরা। এছাড়াও ভোটের দিন নিরাপত্তা নিশ্চিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সদস্য মোবাইল ডিউটি (ভ্রাম্যমাণ দায়িত্ব) পালন করবে।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, নওগাঁর ১১টি উপজেলার মধ্যে ১০টি উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে। নওগাঁ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা চেয়ারম্যান পদে কোন প্রতিদ্বন্দ্বি না থাকায় একক প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। অন্য ১০টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪০ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ১০টি উপজেলায় ১৬ লাখ ৯১ হাজার ১৬০ জন ভোটার রয়েছেন।

পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন পিপিএম বলেন, ভোটের দিন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোটার যেন কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে পারে এবং কোন রকম অপ্রীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি না হয় সেজন্যই পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান জানান, ভোট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে কঠোর নিরাপত্তায় রবিবার দুপূরে উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে নির্বাচনী সরঞ্জামাদি বিতরণ করা হয়েছে। তিনি আশা করেন, প্রশাসন থেকে কয়েক স্তর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

(বিএম/এসপি/মার্চ ১৭, ২০১৯)