চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : শহরের প্রবেশদ্বার কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জ্যারটেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান চত্বরের সৌর্ন্দয্য বৃদ্ধি ও দৃষ্টিনন্দন করতে এগিয়ে এলেন কর্ণফুলী থানা পুলিশ। 

কিছুদিন আগে কর্ণফুলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলমগীর মাহমুদ এর নেতৃত্বে অযতœ-অবহেলা আর সৌন্দর্য্যহীন হয়ে পড়া থাকা এ চত্বরের ঝোপঝাড় ও ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করা হয়। এমনকি নিরাপত্তা বাড়াতে উচ্ছেদ অভিযান ও সরানো হয় অপ্রয়োজনীয় ব্যানার পোস্টার। যা দেখে সে সময় স্থানীয় সাধারণ মানুষ পুলিশের এ উদ্যোগকে স্বাগত ও প্রশংসা করতে শোনা যায়।

অপরদিকে দীর্ঘদিন যাবত ঐতিহ্যবাহী এই চত্বরটির শোভা বৃদ্ধি ও দৃষ্টিনন্দনে কেহ এগিয়ে না এলেও এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশ পুলিশ। পুলিশের ভালো কাজ কিছু মানুষের চোখে না পড়লেও কর্ণফুলী উপজেলায় সাম্প্রতিক সময়ে মইজ্জ্যারটেক ও শিকলবাহা ক্রসিং এ সিসিটিভি বসানো, পাড়া মহল্লার প্রতিটি ওয়ার্ডে বিট পুলিশিং কার্যক্রম বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে।

আজ ১৮মার্চ বিকেল বেলা পুনরায় ওসির উদ্যোগে মইজ্জ্যারটেক আখতারুজ্জামান চত্বরে কয়েক প্রজাতির শোভাবর্ধক গাছ রোপন করা হয়। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ও গাছের গোঁড়া বাঁধানো হয়।

এ কাজে সার্বিক সহযোগিতা করেছিলেন কর্ণফুলী থানার এসআই মো. আলতাফ হোসেন, এসআই মো. দিদারুল ইসলাম, এএসআই মো. জুবায়ের হোসেন প্রমূখ।

প্রসঙ্গত, ৩৬ মিটার ব্যাস ও ১৩ মিটার চারপাশের সড়কে আবৃত চত্বরটির নামকরণ করা হয় দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু’র নামে। এটি ২০১০ সালে সাবেক প্রবাসী ও জনকল্যাণ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি ও পটিয়ার সংসদ সদস্য বর্তমান হুইপ শামশুল হক এমপি চত্বরটি নামফলক উদ্বোধন করেন।

মইজ্জ্যারটেকের মায়া ফার্মেসীর সত্বাধিকারী মনির উদ্দিন মনির জানান, ‘দীর্ঘদিন অবহেলিত থাকার পর আখতারুজ্জামান চত্বরের সৌন্দর্য্যবর্ধনে কর্ণফুলী থানা পুলিশ এগিয়ে আসায় আমরা স্থানীয়দের পক্ষ থেকে ওসি সাহেবকে ধন্যবাদ জানাই।’

অপরদিকে জানতে চাইলে কর্ণফুলী থানার পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, শহরের প্রবেশ মুখ হল কর্ণফুলীর মইজ্জ্যারটেক। আর মুখ হল মনের আয়না। মূলত ওসি স্যারের নির্দেশে আমরা সকলে চেষ্টা করেছি আখতারুজ্জামান চত্বরটিকে মিনি পার্ক কিংবা সংস্কারে নতুনত্ব আনা যায় কিনা।’

(জেজে/এসপি/মার্চ ১৯, ২০১৯)