রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের খেয়াঘাট ইজারা সংক্রান্ত অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে  হাইকোর্টে দায়েরকৃত মামলার তদন্তে এসে বাদি ও সাক্ষীর সঙ্গে কথা না বলেই চলে গেলেন তদন্তকারি কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশন এর খুলনা বিভাগীয় উপপরিচালক নাজমুল আহসান। মঙ্গলবার দুপুর ১১টায় তিনি সাতক্ষীরা জেলা পরিষদে আসেন।

মামলার বাদি সাতক্ষীরা হাইকোর্টের আইনজীবী অ্যাড. সত্যরঞ্জন মণ্ডল জানান, সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার ১১টি খেয়াঘাট ডাকে অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগে তিনি গত বছরের ১৫ অক্টোবর হাইকোর্টে ১২২৬২/১৮নং রিট পিটিশন দাখিল করেন। বিচারক মোঃ নজরুল ইসলাম ও বিচারক কেএম হাফিজুল আলম এক মাসের মধ্যে বাদির দরখাস্ত নিষ্পত্তি করার জন্য দুদক চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন। নিদ্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর দুদকের খুলনা উপপরিচালক আবুল হোসেন বদলী হয়ে যাওয়ার পর নব নিযুক্ত কর্মকর্তা নাজমুল আহসান তাকে গত ২৬ ফেব্র“য়ারি তার অফিসে কাগজপত্রসহ তার অফিসে ডাকেন। সেখানে তিনি সাক্ষ্য দেন। ইজারা সংক্রান্ত বিষয়ে দৈনিক পত্রদূত পত্রিকায় প্রতিবেদন দাখিল হওয়ার কারণে পত্রদূত পত্রিকার সম্পাদককেও ২৬ ফেব্র“য়ারি উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়। তবে সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধি জেলা পরিষদে তদন্তকারি কর্মকর্তা এলে সেখানে সাক্ষ্য দেবেন বলে মোবাইল ফোনে তদন্তকারি কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়।

সত্যচরণ মণ্ডল আরো জানান, তদন্তকারি কর্মকর্তার কথা অনুযায়ি ১৯ মার্চ সকাল ১০টায় তিনি ও দৈনিক পত্রদূতের পক্ষে সাংবাদিক রঘুনাথ খাঁ জেলা পরিষদে আসেন। চুকনগরে গাড়ি খারাপ হয়ে যাওয়ার কারণে তদন্ত কর্মকর্তা আসতে দেরী করেন। একপর্যায়ে সকাল ১১টায় আসার পর তদন্ত কর্মকর্তাকে তাদের উপস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করা হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় তদন্তকারি কর্মকর্তা তার ও রঘুনাথ খাঁর সঙ্গে কথা না বলেই দুপুর সোয়া একটায় জেলা পরিষদ ছেড়ে চলে যান।

জেলা পরিষদের কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে তাকে মোবাইল ফোনে জানানো হলে খুলনায় যেতে বলেন। তাদেরকে ডেকে এনে সৌজন্যমূলক কথা না বলে চলে গেলেন কেন এমন প্রশ্নের জবাবে দুদক কর্মকর্তা বলেন, মামলা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জব্দ তালিকা করার পর প্রধান নির্বাহী না থাকায় তাদের কাছ থেকে কোন কিছু শোনার প্রয়োজন বোধ করেননি তিনি।

মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে দুদক কর্মকর্তা নাজমুল আহসান বলেন, যেসব কর্মকর্তার উপস্থিতিতে সাক্ষ্য গ্রহণ করার কথা তারা না থাকায় তিনি চলে এসেছেন। পরবর্তীতে খুলনায় বাদি ও সাক্ষীদের আসার জন্য বলা হয়েছে।

(আরকে/এসপি/মার্চ ১৯, ২০১৯)