মিলন কর্মকার রাজু, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পায়রা বন্দর নির্মানে জমি অধিগ্রহনে ক্ষতিগ্রস্থ্ ৪২০০ পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিয়ে পূণর্বাসিত করার পাশাপশি প্রতি পরিবার থেকে একজন করে সদস্যকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মমুখী করার উদ্যোগ নিয়েছে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ। বুধবার সকাল ১১টায় পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো.মতিউল ইসলাম চেীধুরী এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্ধোধন করেন। 

পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো সুবিধাদির উন্নয়ন(১ম সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্পের জন্য ভূমি অধিগ্রহনের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবারের সদস্যদের পুনর্বাসন ও আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য পেশাগত দক্ষতা অর্জনের লক্ষ্যে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের আয়োজন করে।

বুধবার কলাপাড়ার লালুয়া ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্থ্য ৩৫০ জনকে মৎস্য চাষ ও উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে মৎস্য আহরন, বয়লার ককরেল ও টার্কি পালন, উন্নত প্রযুক্তিতে হাঁস মুরগী পালন ও খাদ্য তৈরি এবং গাভী পালন বিষয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু হয়।

পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ ও ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দি রুরাল পূয়র(ডরপ) এর আয়োজনে এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্ধোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ’র উপ সচিব ও যুগ্ম পরিচালক(এস্টেট) খন্দকার নূরুল হক।

প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মা.মতিউল ইসলাম চেীধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কলাপাড়া সহকারী কমিশনার(ভূমি) অনুপ দাস, ডরপ’র পরিচালক(অর্থ ও প্রশাসন) হায়দার আলী, কলাপাড়া প্রেসক্লাব সভাপতি মেজবাহউদ্দিন মাননু ও খেপুপাড়া ইসষ্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজীর পরিচালক এম এ সালেহ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডরপ’র টিম লিডার(প্রশিক্ষণ) জেবা আফরোজ।

প্রশিক্ষণে অংশ নেয়া ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবারের সদস্যরা শেফালী বেগম, মো. ইসমাইল ও রোখসানা আক্তার বলেন, সরকার পায়রা বন্দর নির্মানের জন্য তাদের জমি অধিগ্রহন করলেও জমির তিনগুন মূল্য ও আবাসন সুবিধা দিয়েছে। এখন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমাদের কর্মক্ষম করে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। তবে এ প্রশিক্ষণের পাশাপাশি তাঁদের ঋন সুবিধা প্রদান করলে পরিবারের ভবিষত নিশ্চিত হবে।

পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চেীধুরী বলেন, বাংলাদেশেই প্রথম এই সরকার জমি অধিগ্রহনে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে জমির তিনগুন মূল্য পরিশোধ,আবাসন সুবিধা প্রদান করেছে। এখন ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবারকে প্রশিক্ষণ দিয়ে তাঁদের কর্মক্ষম করার উদ্যোগ নিয়েছে। পর্যায়ক্রমে ৪২০০ পরিবারকে ৩৫ টি টেডে এ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।

(এমকেআর/এসপি/মার্চ ২০, ২০১৯)