শেখ আহসানুল করিম, বাগেরহাট : বাগেরহাটে হযরত খানজাহান আলীর (রহ.) মাজারে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী বার্ষরিক মেলা। 

বুধবার ভোরে আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হওয়া এই মেলা চলবে শুক্রবার রাত পর্যন্ত। প্রতি বছর চৈত্র মাসের পূর্ণিমা তিথিতে শুরু হয় এ মেলা। এবার মেলায় আইন-শৃংখলা রক্ষায় বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। এছাড়া পুলিশের পাশাপাশি সার্বক্ষনিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও নিয়োজিত রয়েছে।

প্রায় সাড়ে ৬শ’ বছর ধরে খানজাহানের (রহ.) মাজারে এই মেলা চলে আসছে। এবার খানজাহান আলীর মেলার প্রথম দিনে বুধবার ভোর থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার-হাজার নর-নারী মাজার প্রাঙ্গনে জড়ো হতে শুরু করেছে। এসব ভক্তরা তিন দিন অবস্থান করবে মাজারে। নিজের মনোবাসনা পূরণের আশায় স্রষ্টার আরাধনায় মগ্ন থাকবেন তারা। এই তিন দিন বাদ্যযন্ত্র নিয়ে খানজাহানের গানসহ লালন, মুর্শিদী, ভাটিয়ালী ও বিভিন্ন আধ্যাত্মিক গান পরিবেশন করবেন ভক্তরা। দিনরাত লোকে-লোকারন্য থাকবে বাগেরহাট শহরতলীতে খানজাহানের মাজার প্রাঙ্গন। আগত ভক্তদের বিশ্বাস এখানে এসে দোয়া করলে যে কোনো সমস্যার সমাধান মেলে। চৈত্র মাসের পূর্ণিমা তিথির এই মেলায় দোকানীরা বিভিন্ন পরশা সাজিয়ে বসেছেন।

খানজাহান আলীর মাজারের প্রধান খাদেম শের আলী ফকির বলেন, প্রায় সাড়ে ৬শ’ বছর ধরে চৈত্র মাসের পূর্ণিমা তিথিতে মাজার প্রাঙ্গনে এই মেলা হয়ে আসছে। আধ্যাত্মিক গুরু পীর খানজাহানের অগণিত ভক্তরা দূর-দূরান্ত থেকে মেলায় এসে থাকেন। খানজাহানের হাজার হাজার ভক্ত তাদের নানা মনোবাসনা নিয়ে মেলায় হাজির হয়ে থাকে। মাজার এলাকা ও খানজাহানের দীঘিরপাড়সহ বিস্তৃর্ণ এলাকা জুড়ে ভক্তরা তাদের অস্থায়ী আস্তান গেড়েছেন। জাতি-ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে মেলা উপলক্ষে মাজার প্রাঙ্গন এক মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে।

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে পুরো খানজাহানের মেলা প্রাঙ্গন ক্লোজ সার্কিট ( সিসি) ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। ভক্তদের নিরাপত্তা দিতে পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন। সার্বক্ষনিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও নিয়োজিত রয়েছে। বুধবার ভোর থেকে শুরু হওয়া এই মেলা চলবে শুক্রবার রাত পর্যন্ত।

(এসএকে/এসপি/মার্চ ২০, ২০১৯)