রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরা পৌরসভার সরবরাহকৃত পানির মূল্য অযৌক্তিকভাবে দ্বিগুন বৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং পৌর এলাকায় সর্বত্র সুপেয় পানির সরবরাহ নিশ্চিত করার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে সাতক্ষীরা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের আয়োজনে এ মাবনন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের আহবায়ক এড. ফাহিমুল হক কিসলুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আবু আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী, অধ্যক্ষ সুভাষ সরকার, অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী, আব্দুস সামাদ, স্বপন কুমার শীল, শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলু, পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান রাশি, লায়লা পারভীন সেঁজুতি, মধাব চন্দ্র দত্ত, প্রকৌশলী মশিউর রহমান পলাশ, জাহিদা আক্তার মৌ, সায়েম ফেরদৌস মিতুল, প্রণয় সরকার প্রমূখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাতক্ষীরা পৌরসভা যে পানি সরবরাহ করছেন তা খাওয়ার অযোগ্য। যে পানি সাতক্ষীরা পৌর কর্তৃক সরবরাহ করেন সেই পানি পৌরসভার মেয়র কাউন্সিলররা নিজেরাই পান করেন না। তারা নিজেরা জারিকেনের পানি ক্রয় করে খান। অথচ নাগরিকদের খাওয়ার জন্য ময়লাযুক্ত খাওয়ার অনুপযোগি পানি সরবরাহ করছেন। এছাড়া অধিকাংশ সময়ই পানি থাকেই না।

ইচ্ছেমত আবার সাতক্ষীরা পৌর কর্তৃক পানির বিল দ্বিগুন করেছেন। মনে রাখবেন পৌরসভা জনগনের প্রতিষ্ঠান। আপনারা জনগনের সেবক। সুতরাং জনগনের বিরুদ্ধে অবস্থান করলে টিকতে পারবেন না। একদিকে সকলকে প্রতিমাসে সরবরাহকৃত পানির বিল দিতে ৪/৫ শত টাকা অন্যদিকে খাওয়ার জন্য প্রতিটি পরিবারের জারের পানি ক্রয় করতে প্রায় ৬/৭ শত ব্যয় হচ্ছে। আগামী ২৮ মার্চের মধ্যে ওই দ্বিগুন বিল প্রত্যাহার না করলে সাতক্ষীরা পৌরসভার সকল পানি গ্রাহকদের পানির বিল পরিশোধ না করার আহ্বান জানান বক্তারা।

বক্তারা আরো বলেন, সাতক্ষীরা পৌরসভা প্রথম শ্রেণির পৌরসভা। এখানে মাছ-মাছি নিধনের জন্য বরাদ্দ থাকলেও গত কয়েক বছরে একবারও মশা-মাছি নিধনের জন্য ফগার মেশিন ব্যবহার করা হয়নি। অথচ জেলার প্রত্যান্ত এলাকা শ্যামনগরে মশা নিধনের জন্য প্রায়ই ফগার মেশিন ব্যবহার করা হয়। অবিলম্বে দাবি মেনে নেওয়া না হলে সাতক্ষীরা পৌরসভা ঘেরাওসহ সাতক্ষীরার সকল জনগনকে সাথে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

(আরকে/এসপি/মার্চ ২১, ২০১৯)