আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : ইচ্ছে ছিলো উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা তার অমতে জোরপূর্বক বাল্যবিয়ে দিতে চেয়েছিলো। 

শনিবার (২৩ মার্চ) বাদ যোহর বাল্যবিয়ের দিন ধার্র্য্যছিলো। বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে পরিবারের সদস্যদের অনেক বুঝিয়েও কোন কাজে আসেনি। উল্টো অভিভাবকদের বকুনি খেয়ে অভিমান করে অবশেষে নিজের জীবন দিয়ে বাল্যবিয়ে প্রতিহত করেছে স্কুল ছাত্রী লাইজু আক্তার (১৫)। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার প্রত্যন্ত পশ্চিম ডুমুরিয়া গ্রামের।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের আব্দুল হাই ফকিরের কন্যা ও মেদাকুল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর মেধাবী ছাত্রী লাইজু আক্তারের অমতে তার বিয়ে ঠিক করেছিলো পরিবারের সদস্যরা।

বাল্য বিয়ের কুফল সম্পর্কে লাইজু তার পরিবারের সদস্যদের অনেক বুঝিয়েও কোন সুফল পায়নি। উল্টো অভিভাবকদের বকুনি খেয়ে অভিমান করে লাইজু শুক্রবার দুপুরে সবার অজান্তে ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে ওইদিন বিকেলে থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে গৌরনদী মডেল থানার ওসি গোলাম সরোয়ার জানান, আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ওইদিন রাত সাড়ে দশটার দিকে থানা থেকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহত লাইজু আক্তারের লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

লাইজুর একাধিক সহপাঠীরা জানায়, ক্লাশের মধ্যে লাইজু ছিলো মেধাবী ছাত্রী। তার অদ্যম ইচ্ছে ছিলো উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হওয়া। কিন্তু তার পরিবারের সদস্যদের একটু ভুলের কারণে অকালে চলে যেতে হয়েছে অভিমানী লাইজুকে। আর যেন লাইজুর মতো কাউকে অকালে ঝড়ে পরতে না হয় সেদিকে অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার দাবি করেছেন সচেতন মহল।

(টিবি/এসপি/মার্চ ২৩, ২০১৯)