দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুরের ফুলবাড়তে রবিবার সকালে পাঁচদফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন উপজেলার দলিত-হরিজন ও নৃ-গোষ্ঠীর নারী ও পুরুষরা । 

পৌর শহরের সুজাপুরস্থ হরিজন দলিত-হরিজন পল্লী থেকে দলিত-হরিজন ও নৃ-গোষ্ঠীর নারী ও পুরুষরা ব্যানার-ফ্যাস্টুন নিয়ে পৌর শহরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিল শেষে স্থানীয় নিমতলা মোড়ে দলিত নেত্রী তারামনি বাঁশফোঁড়ের সভাপতিত্বে এবং গৃ-গোষ্ঠীর পাউলুস মুর্মূর সঞ্চালনায় আয়োজিত সভায় বক্তব্য রাখেন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা গ্রাম বিকাশ কেন্দ্রের (বিজিকে) উপজেলা ব্যবস্থাপক মো. সাদিয়ার রহমান, উপজেলা দলিত-আদিবাসী প্লাটফর্মের সভাপতি প্রভাষক অমর চাঁদ গুপ্ত অপু, মোছা. শাহানা পারভীন, নাট্যকর্মী শিউলী বাড়া, এমডিও মনোয়ার হোসেন, কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট ফ্যাসিটেটর মো. মিজানুর রহমান, মানজার আলী, মো. তানজুদুর রহমান সুমন, ফুলবাড়ী প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক প্লাবন শুভ প্রমূখ।

পরে দলিত-হরিজন ও নৃ-গোষ্ঠীর পাঁচদফা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রদান করা হয়।

পাঁচদফা দাবির মধ্যে রয়েছে, দলিত-হরিজন জনগোষ্ঠীর আবাসন ব্যবস্থা আত্যন্ত মানবিক। সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, রেলওয়ে ও স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃক বরাদ্দকৃত ভগ্নপ্রায় বাসাবাড়িতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পরিজন-পরিজন নিয়ে অত্যন্ত মানবেতরভাবে বসবাস করছেন। বিশুদ্ধা পানীয়জলসহ স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানাসহ নূন্যতম নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত এই দুই জনগোষ্ঠী। এরপরও উচ্ছেদ আতঙ্কে দিন কাটাতে হচ্ছে। এ অবস্থার অবসান ঘটাতে হরিজন জনগোষ্ঠীর আবাসন ব্যবস্থার উপন্নয়ন ও খাস জমিতে গৃহ নির্মাণ করে তাদের স্থায়ী বন্দোবস্তের ব্যবস্থা করা। উত্তরাঞ্চলের নৃ-গোষ্ঠীর জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন করা।

দলিত ও হরিজন জনগোষ্ঠী বিভিন্ন কারণে তাদের পৈত্রিক পেশাচ্যুত হচ্ছেন। আবার দক্ষতার অভাবসহ সামাজিক প্রতিবন্ধকতার কারণে বিকল্প পেশায় যেতে না পারায় বেকার হয়ে পড়ছেন। সরকারি সেফটিনেট কর্মসূচিতে দলিত ও নৃ-গোষ্ঠীর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা চালু করা এবং দলিত ও হরিজনদের পৈত্রিক মূল পেশায় চাকরিতে অগ্রাধিকার দেওয়া।

(এসিজি/এসপি/মার্চ ২৪, ২০১৯)