স্টাফ রিপোর্টার : চট্টগ্রামের চন্দনাইশে ভোটকেন্দ্র দখল নিয়ে সংঘর্ষে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের গুলিতে আহত পুলিশ কনস্টেবল ফরহাদ হোসেনকে (৩০) রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে পাঠানো হচ্ছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার।

তিনি বলেন, গুলিতে ফরহাদ হোসেন (৩০) নামের ওই পুলিশ কনস্টেবলের অণ্ডকোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্স যোগে রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে পাঠানো হচ্ছে। বেলা ১২ টার দিকে রওনা হওয়া গাড়িটি বর্তমানে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অতিক্রম করছে।

প্রসঙ্গত, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ভোট শুরুর দেড় ঘণ্টার মাথায় চন্দনাইশে ভোটকেন্দ্র দখল নিয়ে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের গুলিতে পুলিশ কনস্টেবল ফরহাদ হোসেন গুরুতর আহত হন।

পূর্ব চন্দনাইশ প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. মতিন স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, সকালে একটি পক্ষ জোর করে ব্যালটে সিল মারতে চেষ্টা করে। বিষয়টি তিনি পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এ সময় সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এতে পুলিশের এক সদস্য আহত হয়েছেন। এরপর এ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করে দেয়া হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চন্দনাইশ পৌরসভার পূর্ব চন্দনাইশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকার প্রতীকের প্রার্থী কে এম নাজিম উদ্দীনের সমর্থকরা জোর করে জাল ভোট দিতে চেষ্টা করে। এ সময় ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা তাদের বিরত করতে গেলে নৌকার সমর্থকরা মারমুখি হয়। প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে রক্ষায় এগিয়ে আসে পুলিশ। এ সময় উভয়পক্ষে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সংঘর্ষে যোগ দেয় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী দোয়াত-কলম প্রতীকের আবদুল জব্বার চৌধুরীর সমর্থকরাও।

চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেশব চক্রবর্তী বলেন, পূর্ব চন্দনাইশের চন্দনাইশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র দখলে নিতে দু'পক্ষের গোলাগুলিতে এক পুলিশ সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও অন্তত পাঁচজন। হামলার ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।

(ওএস/এসপি/মার্চ ২৪, ২০১৯)