সঞ্জীব কুমার দাস, কাপাসিয়া (গাজীপুর) : গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্যানেল জয়ী হয়েছে। তবে ভোট নিয়ে কোন প্রার্থীর কোন অভিযোগ পাওয়া যায় নাই। সকল প্রার্থীই শুষ্ঠু ভোট হয়েছে বলে দাবি করেন। ভোট গ্রহণ শেষে রাত সাড়ে দশটার দিকে কাপাসিয়া উপজেলা নিবার্হী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার ইসমত আরা ফলাফল ঘোষণা করেন।

সকাল থেকে উপজেলা পরিষদের নিবার্চন সুন্দর ও শুষ্ঠুভাবে নিবাচর্ন শেষ হয়। সকাল ৮ থেকে বিরতীহিন ভাবে ভোট গ্রহন চলে। নিবার্চন কমিশন এর আগ থেকে ভোটার এলাকায় নিরাপত্তা জোড়দার করেন। রাস্তায় রাস্তায় বিডিয়ার টহল দিতে দেখা গেছে। সকালে জেলা পুলিশ সুপার সামসুন্নাহার উপজেলা বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র পর্যবেক্ষন করেন। তিনি ভোটারদের সাথে কথা বলেন।

এ ছাড়া মোবাইর কোট, ফায়ার সার্ভিস,বিশেষ পুলিশও নিবার্হী ম্যাজিষ্ট্যাট বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বাধাহীন ভাবে সকল দলের ভোটাররা তাদের ভোট প্রদান করতে পেরেছেন। কেন্দ্রের আশপাশে কোথায় কোন জটনা দেখা যায়নি। তবে নিরুত্তাপ ছিল ভোট কেন্দ্র গুলো। তবে এবার অধিকাংশ ভোটার ছিল ভয়োজষ্ঠ ও মহিলা। তুরুন ভোটারদের কেন্দ্রে তেমন একটা চোখে পড়েনি। ব্যাপক নিরাপত্তার কারনে সাধারন ভোটাররা রীতিমত স্বস্তিতে ভোটাররা ভোট প্রদান করতে পেরেছে বলে একাধিক ভোটারা জানান। নিবাচর্নে চেয়ারম্যান পদে ৫জন ভাইসচেয়ারম্যান পদে ৪জন মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রতিদন্ডিতা করেছেন।

নিবার্চনে চেয়াররম্যান পদে আমানত হোসেন খান নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৮৬১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আনিছুর রহমান আরিফ পেয়েছেন ২৫ হাজার ৭৮৫ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে আসাদুজ্জামান আসাদ তালা প্রতীকে পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৩৩৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাফিজুল হক চৌধুরী আইয়ুব পেয়েছেন ২৭ হাজার ৮৮৪ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ররম্যান পদে রওশন আরা সরকার কলসি প্রতীকে পেয়েছেন ৪৩ হাজার ২২২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাহমুদা খানম পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৩৯৩ ভোট। মোট দুই লাখ ৬৭ হাজার ৩৯৪ ভোটারের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ভোট পড়েছে ৮৬ হাজার ৪৭২টি। যার গড়হার ৩২.৩৪ শতাংশ। এছাড়া বিভিন্ন সংস্থার নিবাচর্ণী পর্যবেক্ষন দল এ উপজেলার শন্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে বলে দাবী করেন।

(এসকেডি/এসপি/মার্চ ২৫, ২০১৯)