পাবনা প্রতিনিধি : মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। 

আজ সকালে প্রশাসনিক ভবন থেকে র‌্যালি বের হয়ে স্বাধীনতা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে স্বাধীনতাযুদ্ধের মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ স্বাধীনতাযুদ্ধের বীর সন্তানদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. এম রোস্তম আলী, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ার খসরু পারভেজ ও অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার বিজন কুমার বহ্ম। আরো শ্রদ্ধা জানান, বঙ্গবন্ধু পরিষদ,শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা সমিতি, কর্মচারী পরিষদ, প্রক্টর প্রীতম কুমার দাস,সহকারী প্রক্টর ফারুক হোসেন, ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তর, বিজনেস ষ্টাডিজ অনুষদ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হল, শেখ হাসিনা হল, রোভার স্কাউটসহ বিভিন্ন বিভাগ, সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।

এরপর এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় উপাচার্য প্রফেসর ড. এম রোস্তম আলী বলেন, ২৬ মার্চ বাঙালি জাতির আত্ম পরিচয়ের দিন। পরাধীনতার শিকল ভাঙ্গার দিন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালি জাতি দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম শেষে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তাঁর ঘোষণায় উদ্ধুদ্ধ হয়ে বাঙালি স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন। অবশেষে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। বঙ্গবন্ধু আর বাংলাদেশ একই মুদ্রার এপিট-ওপিট।

উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বাঙালির স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জানা দরকার। বঙ্গবন্ধু কীভাবে ধাপে ধাপে বাঙালিকে স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশ গ্রহণের জন্য প্রস্তুত করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু বাঙালির মহানায়ক।

কোষাধ্যক্ষ আনোয়ার খসরু পারভেজ বলেন, পাকিস্তানের পরাজয় নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল ১৯৭১ এর ২৬ মার্চ। ১৬ ডিসেম্বর ছিল চুড়ান্ত বিজয়।

শেষে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। এরপর প্রীতি ফুটবলসহ বিভিন্ন ইভেন্টের খেলাধুলার আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যায় স্বাধীনতা চত্বরে মুক্তিযুদ্ধের আলোকচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া ক্যাম্পাসে আলোকসজ্জা করা হয়।

এদিকে ২৫ মার্চ গণহত্যার কালোরাত্রি স্মরণে সোমবার সন্ধ্যায় স্বাধীনতা চত্বরে প্রদীপ প্রজ্জ¦লন করা হয়। এসময় শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

(পিএস/এসপি/মার্চ ২৬, ২০১৯)