স্টাফ রিপোর্টার : বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের সঙ্গে আকত্মতা প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। মঙ্গলবার রাত ১১টা ৩৫ মিনিটে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের সঙ্গে আকত্মতা প্রকাশ করে নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দেন তিনি।

পোস্টে গোলাম রাব্বানী বলেন, শিক্ষার্থীদের সকল নৈতিক এবং যৌক্তিক দাবির সঙ্গে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি।

এর আগে ফেসবুকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের সঙ্গে আকত্মতা প্রকাশ করেন ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর ও বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক রাশেদ খান।

এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সদস্য মাহমুদুল হাসান শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে শিক্ষার্থীদে দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।

এদিকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপচার্য (ভিসি) প্রফেসর ড. এসএম ইমামুল হকের পদত্যাগ দাবিতে ৮ম দিনের মতো আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, গত ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বৈকালিন চা চক্র ও আলোচনা অনুষ্ঠানে’ শিক্ষার্থীদের আমন্ত্রণ না জানানোয় এবং তাদের খাবারের প্যাকেট না দেয়ায় অনুষ্ঠান স্থলের বাইরে প্রতিবাদ জানায় শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় আন্দোলনকারীদের ‘রাজাকারের বাঁচ্চা’ বলেন উপাচার্য।

উপাচার্যের এই উক্তির প্রতিবাদে এবং ওই মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে পরদিন ২৭ মার্চ সকাল থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। ওইদিন আরও কিছু দাবি যুক্ত করে ১০ দফা দাবি আদায়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ছাত্র আন্দোলন নিয়ন্ত্রণ করতে ২৭ মার্চ রাত ৩টার দিকে উপাচার্য তার একক ক্ষমতা বলে ২৮ মার্চ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ এবং ওইদিন (২৮ মার্চ) বিকেল ৫টার মধ্যে সকল আবাসিক শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেন।

বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ এবং শিক্ষার্থীদের হলত্যাগের নির্দেশের ঘটনায় আরও ক্ষুব্ধ হন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। কর্তৃপক্ষের নির্দেশ উপেক্ষা করে ২৮ মার্চ (বৃহস্পতিবার) আবাসিক শিক্ষার্থীরা হল ত্যাগ না করে স্ব-স্ব হলেই অবস্থান নেন। একইসঙ্গে ভিসির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা ।

এদিকে শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের বাঁচ্চা’ বলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. এস এম ইমামুল হক।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মো. আল আমীন জাগো নিউজকে জানান, এখন আর ৫ দফা বা ১০ দফা নয়। এখন একটিই দাবি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগ। সোমবার বেঁধে দেয়া ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভিসিকে পদত্যাগের আহ্বান জানানো হয়। বেঁধে দেয়া সময়সীমা আজ দুপুর ১টা পর্যন্ত। এরমধ্যে ভিসির পদত্যাগ না করলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হবে।

(ওএস/এএস/এপ্রিল ০৩, ২০১৯)