স্টাফ রিপোর্টার : অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে মরক্কোকে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) ৪৪তম বার্ষিক সভায় যোগদান করতে অর্থমন্ত্রী মরক্কোর মারাক্কাশে অবস্থান করছেন। সেখানে দেশটির অর্থমন্ত্রী মোহাম্মদ বেঞ্চাবোনের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান।

এ সময় তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্য মরক্কোর বাজারে শুল্কমুক্তভাবে প্রবেশাধিকারের বিষয়েও অনুরোধ করেন অর্থমন্ত্রী। এছাড়া শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় আইডিবির প্রেসিডেন্ট বান্দার এম এইচ হাজ্জার সঙ্গেও তিনি বৈঠক করেন। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

মরক্কোর অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠককালে দুই দেশের পারস্পরিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন মুস্তফা কামাল। তিনি বিগত ১০ বছরে বাংলাদেশের সব অর্থনৈতিক সূচকে প্রভূত উন্নয়নের বিষয়ে মরক্কোর অর্থমন্ত্রীকে অবহিত করেন।

দেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করে মুস্তফা কামাল বলেন, সরকারি ও বেসরকারি খাতে বিনিয়োগকে টেকসই করার জন্যই সরকার এ শিল্পাঞ্চলগুলো গড়ে তুলেছে। তিনি এসব বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে পিপিপি পদ্ধতিতে তৈরি পোশাক শিল্প, ফার্মাসিউটিক্যালস, ইলেকট্রনিক্স, চামড়াজাত পণ্য উৎপাদনে বিনিয়োগের জন্য, মরক্কোর প্রতি অনুরোধ জানান। এসব পণ্য মরক্কোর বাজারে শুল্কমুক্তভাবে প্রবেশাধিকারের বিষয়েও অনুরোধ করেন মন্ত্রী।

বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানালে মোহাম্মদ বেঞ্চাবোন বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাওয়া অবিশ্বাস্য সফলতা দেখার জন্য তিনি শীঘ্রই বাংলাদেশ সফর করবেন।

বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি পাবে বলে দুই দেশের অর্থমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অর্থমন্ত্রী শুক্রবার আইডিবির প্রেসিডেন্ট বান্দার এম এইচ হাজ্জার সঙ্গে বৈঠকে করেন। বৈঠককালে সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করে এক অবিশ্বাস্য গতিময় অর্থনীতিতে সফল দেশ দেখে এসেছেন বলে মন্তব্য করেন আইডিবির প্রেসিডেন্ট।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি ট্রান্সফরমেশনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তার মতে, বাংলাদেশের অর্থনীতি এক স্তর হতে উন্নতির আরেক স্তরে পৌঁছাচ্ছে। সে কারণে বাংলাদেশের আরও বেশি সম্পদের প্রয়োজন, যা হতে পারে আর্থিক ও প্রাতিষ্ঠানিক। বাংলাদেশের এ ট্রান্সফরমেশনে আইডিবির জোরালো ভূমিকা অব্যাহত থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন হাজ্জা।

তিনি বাংলাদেশর রেলওয়ে নেটওয়ার্কসহ আরও কয়েকটি ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাব পরীক্ষাধীন অবস্থায় আছে বলে জানান। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে এ সকল প্রকল্পের বিষয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।

বৈঠক দুটির সময় অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

(ওএস/এএস/এপ্রিল ০৬, ২০১৯)