স্টাফ রিপোর্টার : রূপালী ব্যাংকের ১৫ কোটি টাকা আত্মসাতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। ওই মামলায় দুই ব্যবসায়ীর কারাদণ্ড হয়েছিল।

আগামী ১৫ এপ্রিল তদন্ত কর্মকর্তাকে হাইকোর্টে হাজির হয়ে ওই মামলায় রূপালী ব্যাংক কর্মকর্তাদের অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেয়ার ঘটনার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।

রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী হাসাম এম এস আজিম। আপিলকারী এইচ এম বাহাউদ্দীনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. রিজাউল ইসলাম রিয়াজ ও তিন ব্যাংক কর্মকর্তার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শেখ ওবায়দুর রহমান।

পরে হাসান এম এস আজিম বলেন, আগামী ১৫ এপ্রিল তদন্ত কর্মকর্তাকে হাইকোর্টে হাজির হয়ে এ মামলায় রূপালী ব্যাংক কর্মকর্তাদের অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেয়ার ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে গ্রেফতারে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ২০১৫ সালের ১২ এপ্রিল এভারেস্ট হোল্ডিং অ্যান্ড টেকনোলজি লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবু বোরহান চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এইচ এম বাহাউদ্দীনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক উপ-পরিচালক, বর্তমানে পরিদর্শক মো. আব্দুল কুদ্দুস খানকে খালাস দেন।

সাজাপ্রাপ্ত বাহাউদ্দীন পরবর্তীতে হাইকোর্টে আপিল করে জামিন আবেদন করেন। আপিলের পর অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেয়া রূপালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক এস এম আতিকুর রহমান, উপ-মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আলী ও সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো. আবদুস সামাদ সরকারকে ২৯ জানুয়ারি তলব করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সে অনুযায়ী রোববার হাইকোর্টে হাজির হন ওই তিন কর্মকর্তা। পরবর্তী শুনানির দিন ওই তিন কর্মকর্তাকে হাইকোর্টে উপস্থিত থাকতে হবে।

তিন কর্মকর্তা হলেন- রূপালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক এস এম আতিকুর রহমান, উপ-মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আলী ও সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো. আবদুস সামাদ সরকার।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বিক্রি করা জমি ও ফ্ল্যাট অবিক্রিত দেখিয়ে ঋণ তুলে ১৫ কোটি টাকা গ্রাহকের নামে বিতরণ করে আত্মসাতের অভিযোগে ২০১২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ৫ জনকে আসামি করে রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলা করে দুদক। ওই মামলায় ২০১৩ সালের ২৯ আগস্ট তিন ব্যাংক কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দিয়ে এভারেস্ট হোল্ডিং অ্যান্ড টেকনোলজি লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবু বোরহান চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এইচ এম বাহাউদ্দীন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক উপ-পরিচালক বর্তমানে পরিদর্শক মো. আব্দুল কুদ্দুস খানকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।

(ওএস/এএস/এপ্রিল ০৭, ২০১৯)