স্টাফ রিপোর্টার : স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন উই দ্য ড্রিমার্সের উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ইন্টার্ন সামিট-২০১৯ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনে চিকিৎসা পেশায় প্রতিবন্ধকতা ও সম্ভাবনা, ক্যারিয়ার গাইডলাইন, চিকিৎসা শাস্ত্রে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন, বিসিএসে কীভাবে কোয়ালিফাই করতে হবে- এসব বিষয় উঠে আসে।

শুক্রবার ঢাবির বাণিজ্য অনুষদের প্রফেসর ড. হাবিবুল্লাহ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ থেকে প্রায় ৩শ’ ইন্টার্ন চিকিৎসক অংশ নেন। তাদের প্রত্যেককে সনদ দেয়া হয়।

আহ্বায়ক কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. ফাতিহা নাসরিনের সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাবির উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান।

এ সময় সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসক ডা. রিয়াজাউদ্দিন ডেনিস, ডা. আদিৃতা আফজাল ও ডা. আসাদুজ্জামান নুর, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. করিমুল ইসলাম রাফি, মাইন্ড ম্যাপারস বাংলাদেশের সিনিয়ির এক্সিকিউটিভ গৌরি ত্রিপুরা। স্বাগত বক্তব্য দেন উই দ্য ড্রিমার্সের সিইও কুতুব তারিক।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, চিকিৎসা পেশার একটি বড় অসুবিধা হচ্ছে এটি একটি ‘ভুল বোঝাবুঝির পেশা’। পুরো সমাজ তাদের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে এ পেশার পক্ষে কথা বলার লোক দিনদিন কমে যাচ্ছে। চিকিৎসদের মধ্যে যারা মানবিক রূপের ডাক্তার তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিজেদের জগতে ডুব দিয়ে থাকেন। তারা অভিমান থেকে এটা করেন। আর চিকিৎসদের মধ্যে যারা খুবই মেধাবী, সমাজ তাদের চিনতে পারতে পারছে না। এসব থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। আমরা সবাই আগে মানুষ, তারপর চিকিৎসক বা অন্য কিছু।

তিনি বলেন, চিকিৎসকদের জন্য ইন্টার্নশিপ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু আমাদের দেশে এটিকে সেইভাবে গুরুত্ব দেয়া হয় না। কোনো মতে হাফ ছেড়ে বাঁচলে হয়-এভাবে দেখা হয়। তবে এখানে উপভোগ করতে হবে। আমাদের যা সুযোগ-সুবিধা আছে এর মধ্যে দিয়ে কাজ করে যেতে হবে।

সম্মেলনে অন্যান্য বক্তারা বলেন, এমবিবিএস পাস করে সবাই বিসিএস কিংবা উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের চেষ্টা করেন। আবার পরিবারের প্রত্যাশাও থাকে। এসব মিলিয়ে অনেকেই হতাশার মধ্যে পড়ে। তবে হাল ছেড়ে দিলে হবে না।

তারা আরও বলেন, দক্ষ-যোগ্য এবং দেশপ্রেমিক চিকিৎসক হতে হবে। যারা রোগী বান্ধব হবেন। সবাইকে ভালো চিকিৎসক হওয়ার পাশাপাশি দক্ষ ও গুণাবলি সম্পন্ন মানবিক মানুষ হয়ে ওঠার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে।

(ওএস/এএস/এপ্রিল ১২, ২০১৯)