স্টাফ রিপোর্টার : আগামী বছর ১৭ এপ্রিল থেকে বছরব্যাপী বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী ‘মুজিব বর্ষ’ হিসেবে পালিত হবে। এই মুজিব বর্ষ পালনের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানকে ব্যাপক প্রচারে আনার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল) আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় উপস্থিত নেতাদের প্রতি এ আহ্বান জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন।

সভায় উপস্থিত একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘মুজিব বর্ষ’ পালন ও এ উপলক্ষে গৃহীত বর্ষব্যাপী কর্মসূচিগুলো সফল করতে হবে। মুজিব বর্ষ পালনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদানসহ বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে নতুন প্রজন্মের সামনে ভালোভাবে তুলে ধরতে হবে এবং ব্যাপক প্রচারে আনতে হবে।

‘৭৫ এর পর ইতিহাস বিকৃতি হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তি ছাড়ানোর চেষ্টা হয়েছে। সঠিক ইতিহাস জানতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু সত্যকে কখনো ধামাচাপা দেওয়া যায় না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের সরকার ক্ষমতায় আসার পর এখন সঠিক ইতিহাস মানুষের সামনে উদ্ভাসিত হয়েছে। এই সত্য, সঠিক ইতিহাস ভালোভাবে তুলে ধরতে হবে।’

এক্ষেত্রে উপদেষ্টা পরিষদ সদস্যদেরও ভূমিকা রাখতে হবে জানিয়ে বলেন, নিজ নিজ অবস্থান থেকে অভিজ্ঞতার আলোকে লেখালেখি, বক্তৃতায় বিভিন্নভাবে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা তুলে ধরবেন।

সূত্র জানায়, সভায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের কেউ কেউ বলেন, বর্তমানে ছাত্রছাত্রী যারা উচ্চশিক্ষা নিয়ে বিভিন্ন পেশায় আসছেন দেখা যায় তাদের অনেকেই মুক্তিযুদ্ধের সময় কখন মুজিবনগর সরকার গঠিত হয় সেটা জানে না। আজ আমরা কওমি মাদরাসাকে স্বীকৃতি দিয়েছি। অথচ এই মাদরাসায় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস পড়ানো হয় না। এসব বিষয়ে তারা কিছু জানেও না। এ ব্যাপারে আমাদের দৃষ্টি দেওয়া দরকার।

এছাড়া মুজিব বর্ষ পালনের কর্মসূচিতে মুক্তিযুদ্ধের সময় যে সব দেশ ও বিদেশি বন্ধু সহযোগিতা করেছিলেন ও পাশে ছিলেন তাদের বা ওইসব দেশের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো যেতে পারে।

সভায় উপদেষ্টা পরিষদ সদস্যদের মধ্যে থেকে বক্তব্য রাখেন আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, এইচটি ইমাম, অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, অধ্যাপক ড. হামিদা বানু, ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর প্রমুখ।

(ওএস/এএস/এপ্রিল ১৩, ২০১৯)