জবি প্রতিনিধি : বাংলা নববর্ষ- ১৪২৬ উদযাপনে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। নতুন বছরকে বরণ করে নিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির সবচেয়ে আয়োজন মঙ্গল শোভাযাত্রার এবারের মূল বিষয়বস্তু ‘নদী’। তাই নদীকে ঘিরেই সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।

ইতোমধ্যে শোভাযাত্রার যাবতীয় অনুষঙ্গ তৈরির কাজ শেষ। নতুন ভবনের নিচ তলায় তৈরি করা হয়েছে বিশাল আকৃতির ময়ূরপঙ্খী নৌকা, বাইচ নৌকা, শুশুক, বিশাল ইলিশ মাছ। এছাড়া চারুকলা বিভাগে তৈরি করা হয়েছে বজরা ও বিভিন্ন জাতের মাছ।

জবির এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার মূল বিষয়বস্তু নদী হওয়ায়, নদীর ধার দিয়েই এটি প্রদক্ষিণ করবে। বাঁচলে নদী বাঁচবে দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ- স্লোগানে সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হবে। আর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল, ওয়াইজ ঘাট, আহসান মঞ্জিল, মুন কমপ্লেক্স, পাটুয়াটুলী, বাটা ক্রসিং হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে শেষ হবে।

শোভাযাত্রায় মুখোশের পরিবর্তে থাকবে মাছের প্রতিকৃতি। এছাড়া শুশুক, বজরা, ডিঙি, ময়ূরপঙ্খী নৌকা, নৌকা বাইচের প্রতিকৃতি স্থান পাবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রার এবারের মূল বিষয়বস্তু ‘নদী’। আর শোভাযাত্রার স্লোগান- বাঁচলে নদী বাঁচবে দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ।

মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে সংগীত বিভাগের পরিবেশনায় নৃত্য ও দলীয় সংগীত, লোক সংগীত। এছাড়া নাট্যকলা বিভাগের পরিবেশনায় থাকবে নদীকে কেন্দ্র করে কবিতা, সংগীত, নৃত্য ও অভিনয় সহযোগে কোলাজ পরিবেশনা। বর্ষবরণ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিভিন্ন স্থানে মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

এছাড়া দিনব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের নিচ তলায় ‘প্রকাশনা প্রদর্শনী’ অনুষ্ঠিত হবে। পুরান ঢাকার ঐতিহ্য ধরে রাখতে ব্যবসায়ী সংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো এতে অংশগ্রহণ করবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিশ্চিত করেছে।

(ওএস/এসপি/এপ্রিল ১৩, ২০১৯)