অমল তালুকদার : ফের সক্রিয় তারা। আবারও জানান দিলো বঙ্গোপসাগর তাদের-ই দখলে। দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত আপাতত তারা। গোপনে আবার সংগঠিত হচ্ছে জলদস্যু( ডাকাত) বাহিনী। সরকার তার প্রসাশনযন্ত্রের ব্যবহার করে বহুলাংশে কমিয়ে এনেছিলো জেলেবহরে জলদস্যুর হানা।

অপরাধ ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতেও শুরু করেছিলো তারা। বরিশাল, বাগেরহাট, বরগুনা, কক্সবাজার সহ দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে যারা সুপথ বেচে নিলেন; তারা আর জীবন ঝুঁকিতে নেই।

বঙ্গোপসাগরে জেলেদের নতুন আতঙ্ক এই বাহিনী এখনও তাদের পরিচয় দেয়নি। শুধু ২/৩টি হামলার ঘটনা দিয়ে যেনো অভিষেক(!) ঘটালো তারা।

সর্বশেষ গত বৃহস্পতি বার বরগুনার আব্দুস সত্তারের ছেলে আলআমিন(৩৫)অজ্ঞাত পরিচয়ধারী জলদস্যু বাহীনির গুলিতে মারা যান। খোঁজনিয়ে জানাগেছে,পাথরঘাটা থেকে দক্ষিন-পশ্চিমে প্রায় ১ শ কিলোমিটার দুরে সুন্দরবন সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে বরগুনার সেলিম খানের এফ.বি.তামান্না ট্রলারে ঘটনার সময় মাছ ধরছিলো জেলেরা। অপর একটি নামবিহিন ট্রলারযোগে এসে হামলা চালায় অস্ত্রধারীরা।

রাব, কোস্টগার্ড, পুলিশ, বনবিভাগ এমন কি নৌবাহীনি দিয়েও তবে কি নিরাপদ করা যাচ্ছে না জেলে জীবন? এপ্রশ্ন দেশের দক্ষিন উপকূলের মাছ ব্যবসায়ী,জেলে পরিবার সহ ভুক্তোভোগী মহলের।

(এটি/এসপি/এপ্রিল ১৪, ২০১৯)