আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রথম দফা ভোটের শেষে আরও একবার জম্মুতে জনসভায় যোগ দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। তার বক্তৃতার প্রায় ৮০ শতাংশ ছিল দেশের নিরাপত্তা, সেনাদের বীরত্ব এবং জাতীয়তাবাদকে কেন্দ্র করে। কাঠুয়ায় নরেন্দ্র মোদি শুধু কংগ্রেস নয়, ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং পিডিপির সমালোচনা করেছেন।

নরেন্দ্র মোদি বলেন, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, এয়ার স্ট্রাইকের কথা শুনলে কেন ভয় পায় কংগ্রেস? কংগ্রেসের পরিবারতন্ত্রের সমালোচনা করে মোদি বলেন, দেশের সেনাবাহিনীর উপর ভরসা কোনও দিনই রাখেনি কংগ্রেস। কেন জানেন? ১৯৬২ সালের পুনরাবৃত্তি ঘটার আশঙ্কায় কংগ্রেস সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কোনও দিন বড় পদক্ষেপ নেয়নি। উল্লেখ্য, ১৯৬২ সালে চীনের সঙ্গে যুদ্ধে হারতে হয়েছিল তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর নেতৃত্বাধীন ভারতকে।

দেশে মোদি ঝড় এখনও অব্যাহত বলে দাবি করলেন বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, পুরো দেশ ঘুরে দেখলাম। ২০১৪ সালের থেকে বেশি ঝড় লক্ষ্য করেছি। বিভিন্ন সমীক্ষা বলছে, কংগ্রেসের থেকে ৩ গুণ বেশি আসন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বিজেপির।

তিনি বলেন, কংগ্রেসের বাঁচা মুশকিল। তিনি বলেন, রাজনীতি, নির্বাচন নিজের জায়গায়। নেতা আসবে যাবে। কিন্তু দেশ থাকবে। দেশ আছে বলেই জাতীয়তাবাদ রয়েছে। এরপর বিরোধীদের এক হাত নিয়ে মোদি বলেন, জাতীয়তাবাদ নিয়ে মোদি কিছু বললেই তাদের গালি বলে মনে হয়। বিরোধীরা প্রশ্ন তোলেন মোদি শুধু জাতীয়তাবাদের কথা বলে। কিন্তু এটাই শেষ কথা বলে বুঝিয়ে দিন নরেন্দ্র মোদি।

২০১৪ সালে এনডিএ- জোটে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভোটে লড়েছিল মেহবুবা মুফতির পিডিপি। ৬টি আসনের ৩টি বিজেপি এবং একটি পিডিপি পেয়েছিল। পরিবর্তিত সময়ে জোট থেকে বেরিয়ে আসেন মেহবুবা মুফতি। ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং পিডিপি-কে একহাত নিয়ে মোদি বলেন, জম্মু-কাশ্মীর থেকে ভারতকে আলাদা করার হুমকি দিচ্ছে তারা। আগে পাকিস্তান পরমাণু বোমা নিয়ে হুমকি দিত। কিন্তু তাদের জেনে রাখা উচিত, জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

মোদি হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, এক দেশে দুই বিধানের বিরোধিতা করেছিলেন খোদ শ্যাম্যাপ্রসাদ মুখার্জি। এই ভাবনায় অটল দেশের চৌকিদার। তিনি আরও বলেন, আবদুল্লা-মুফতি পরিবার জম্মু-কাশ্মীরের উজ্বল ভবিষ্যত ধ্বংস করতে চাইছে। কিন্তু কারোর কাছে মোদি বিক্রি হয় না, ভয় পায় না, মাথা ঝোঁকায় না।

(ওএস/এসপি/এপ্রিল ১৪, ২০১৯)