স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘৩০ ডিসেম্বরের মধ্যরাতের মহাভোট ডাকাতির নির্বাচনের পর বর্তমান সরকারের দুঃশাসন যেন আরও তীব্র মাত্রা লাভ করেছে। দেশকে বিএনপিশূন্য করতেই এখন বেপরোয়া ভূমিকায় মাঠে নেমেছে সরকার। স্বৈরাচারী সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মী এবং প্রতিবাদী মানুষের রক্তে হাত রঞ্জিত করে চারিদিকে ভীতির বিস্তার ঘটাচ্ছে, যাতে সরকারের বিরুদ্ধে কেউ আওয়াজ করারও সাহস না পায়।’

দলটির সহ দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে সোমবার এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।

বগুড়া জেলার সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম শাহীনকে গতকাল রোববার রাতে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানিয়ে গভীর শোক প্রকাশ করে এ বিবৃতি দেন ফখরুল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিশ্বের গণধিকৃত সব স্বৈরাচারকে টেক্কা দিয়ে জনসমর্থনহীন আওয়ামী সরকার এখন মানুষের জানমালের নিরাপত্তাকে চরম হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর মহাসমারোহে মধ্যরাতে ভোট ডাকাতির পর সরকারের আশকারায় দুষ্কৃতিকারীরা দেশব্যাপী লাগামহীন খুন জখমে মেতে উঠেছে।’

তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচারী সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসনে দেশের মানুষকে নির্বাক করে ফেলেছে। অজানা আশঙ্কা, আতঙ্ক আর ভয়ের এক বিষাদময় পরিবেশ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। গতরাতে দুষ্কৃতিকারীদের হাতে বগুড়া সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম শাহীনের নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা আবারও প্রমাণ করল বর্তমান স্বৈরাচারী সরকার দেশে বিরোধী দলের অস্তিত্ব রাখতে চায় না। তবে জনগণ তাদের এ মনোবাঞ্ছা কোনোদিনই পূরণ হতে দেবে না। মত প্রকাশ ও স্বাধীনতা হরণের বিরুদ্ধে অতীতের সংগ্রামী ঐতিহ্যের ধারায় বাংলাদেশের মানুষ যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে দ্বিধা করবে না।’

বিবৃতিতে ফখরুল আরও বলেন, ‘মাহবুবুল আলম শাহীনকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। একইসঙ্গে মাহবুবুল আলম শাহীনকে পৈশাচিকভাবে হত্যায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।’

এ সময় শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল।

(ওএস/এসপি/এপ্রিল ১৫, ২০১৯)