আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : আগৈলঝাড়ায় দক্ষিন শিহিপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দেয়াল ধ্বসে পরেছে। জীবনের ঝুকি নিয়ে ক্লাশ করতে বাধ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। মেঘ দেখলে শিশুদের স্কুলে পাঠাচ্ছেনা উদ্বিগ্ন অভিভাবকেরা।

উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের ২নং দক্ষিণ শিহিপাশা (দাসেরহাট) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ফরিদা ইয়াসমিন জানান, ১৯৪০ সালে শিক্ষার্থীদের জন্য তিন কক্ষের টিনশেড বিদ্যালয় ভবন নির্মান করা হয়। দুটি কক্ষে টিন ও একটি কক্ষে ছাদ ঢালাই হলেও টিনগুলো মরিচায় প্রায় শেষ, আর সেই ছাদ ভেঙ্গে এখন একাকার। ৭৯ বছরের পুরোনো ভবনের দেয়াল ধ্বসে পড়া এই ভবনটিতে এখনও চলছে শিশু শিক্ষার্থীদের পাঠ দান।

সম্প্রতি বিদ্যালয়ের একটি দেয়াল ধ্বসে পরেছে এবং ছাদের অংশে দেখা দিয়েছে ফাটল। এর আগে বর্ষায় ওই ভবনের ছাদ দিয়ে পানি পড়ায় শিক্ষার্থীরা ক্লাশ করতে পারে নি। আগামী বর্ষায় ভবনটি সম্পূর্ণ ধ্বসে পরার আশংকা রয়েছে। ভবন ঝুকিপূর্ণর কারণে একটি শ্রেণির এক পাশে গাদাগাদি করে শিক্ষার্থীদের ক্লাশ করাতে হচ্ছে তাদের। বিদ্যালয়টিতে ১শ ৩৩জন শিক্ষার্থী ও ৫জন শিক্ষক থাকলেও ঝুকিপূর্ণর কারণে শ্রেণি কক্ষ সংকট দেখা দেয়ায় সকালে দ্বিতীয় ও পঞ্চম শ্রেণী এবং দুপুরে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ক্লাশ করাতে হচ্ছে।

সূত্র মতে, উপজেলার ৯৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পনেরশ প্রকল্পের আওতায় ৩টি বিদ্যালয়সহ মোট ৯৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৪৭টি বিদ্যালয়কে ঝুকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তর। এর মধ্যে ৩৩টি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ও ১৪টি মধ্যম ঝুকিপূর্ণর তালিকা তাীলকা হলেও ওই তালিকায় স্থান পায়নি ভবনের দেয়াল ধ্বসে পড়া ২নং দক্ষিণ শিহিপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। ঝুকিপূর্ণ বিদ্যালয়টি সংস্কারের জন্য একাধিকবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করলেও তাতে কোন সাড়া মেলেনি কর্র্তৃপক্ষের।

বিদ্যালয়টি এতই ঝুকিপূর্ণ যে, ভবন ধ্বসের আশংকায় খারাপ আবহাওয়া দেখলে অভিভাবকেরা তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাচ্ছেন না। চরম উৎকন্ঠার মধ্যে রয়েছেন অভিভাবকেরাও। জরুরী ভিত্তিতে বিদ্যালয়টি পূণঃনির্মাণের দাবি জানিয়েছেন অভিভাবক, শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীরা ও স্থানীয়রা।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সিরাজুল হক তালুকদার জানান, বিদ্যালয়টি অধিক ঝুকিপূর্ণর সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তিনি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ছুটিতে রয়েছেন। তবে নতুন করে যে তালিকা তৈরী করা হয়েছে তাতে উল্লেখিত বিদ্যালয়টি ৬নং ক্রমিকে মন্ত্রনালয়ে প্রেরণ করা হবে।

(টিবি/এসপি/এপ্রিল ১৬, ২০১৯)