ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : ঈশ্বরদীর প্রত্যন্ত সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ি গ্রামে দুই বাংলার কবিদের নিয়ে তিন দিনব্যাপী ‘চরনিকেতন বৈশাখী উৎসব ও বাংলা সাহিত্য সম্মিলন’ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শেষ হয়েছে । এপার-ওপার বাংলার কবি-সাহিত্যিকদের অংশগ্রহণে মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে চরনিকেতন কাব্যমঞ্চ।

সোমবার ও মঙ্গলবার সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত সারাদেশের অর্ধ শতাধিক কবি এবং ভারতের কলকাতার ১৪ জন কবি সাহিত্যিকদের মতবিনিময়, কবিতা উচ্চারণ ও প্রাণবন্ত আড্ডায় সম্মিলনে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

এর আগে রবিবার (১৪ এপ্রিল) বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলাসহ গ্রামীণ সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে তিন দিনব্যাপী এই বৈশাখী উৎসব ও বাংলা সাহিত্য সম্মিলনের সূচনা হয়।বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ওসাকার সার্বিক পরিচালনায় বৈশাখী উৎসব ও সাহিত্য সম্মেলনের উদ্যোক্তা ছিলেন কবি, গবেষক ও চরনিকেতন কাব্যমঞ্চের পরিচালক মজিদ মাহমুদ। চরনিকেতন কাব্যমঞ্চের এই আয়োজনের উদ্বোধন করেন বাংলা একাডেমীর পুরস্কারপ্রাপ্ত খ্যাতিমান কবি আসলাম সানী।

অনুষ্ঠান মালায় পাবনার জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন, পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম, পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক শিবজিৎ নাগ, ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহাম্মদ হোসেন ভূঁইয়া, সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি আব্দুল মতিন খান, ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বপন কুমার কুন্ডু, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ কাজী মিনহাজুল আলম, ওসাকার চেয়ারম্যান সাংবাদিক আক্তারুজ্জামান আকতার পুলিশের অফিসার ইনচার্জ বাহাউদ্দীন ফারুকী প্রমুখ।

সমাপনী দিনে সম্মাননা পুরস্কার, দেশ- বিদেশের কবি -লেখক আলোচক ও সংগীত শিল্পীরা নানা আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন। সম্মিলনে ভারতের কবি দীপক লাহিড়ী, চিত্রা লাহিড়ী, দেবারতি ভট্টাচার্য, সোমাভদ্র রায়, গার্গী সেনগুপ্ত, শশী সরকার, এষা বিশ্বাস, মানসী কীর্তনিয়া, সঞ্চয় রায় সহ অনেকে। কাব্যমঞ্চের পরিচালক মজিদ মাহমুদ বলেন, দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে আমি গ্রাম-বাংলাকে তুলে ধরার জন্য কাজ করছি। বাংলা সাহিত্য, বাঙালি সংস্কৃতি ও দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে পারা অনেক গর্বের ও আনন্দের।

(এসকেকে/এসপি/এপ্রিল ১৬, ২০১৯)