মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : নেত্রকোনার মদনপুর অনুষ্টিত স্বাদ গ্রুপের তিন দিনের ইজতেমায় যোগ দেওয়ার দাওয়াত নিয়ে বুধবার সকালে মদন উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের রামগোপালপুর বড় বাড়ির ভরাট পুকুরে দু-গ্রুপের সংঘর্ষ ঘটে। এত উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। 

আহতদের মধ্যে স্বাদ গ্রুপের হাসনপুর গ্রামের হাফেজ ওহিদুজ্জামান, কুলিয়াটি গ্রামের মোঃ দেলায়ার হোসেন, ও আব্দুল কদ্দুছকে মদন হাসপাতালে এবং জুবায়ের গ্রুপের দেওসহিলা গ্রামের মুফতি ওমর ফারুক, রামগোপলপুর হাফিজিয়া মাদ্রাসার মুফতি সোলেমান, হাফেজ খাইরুল ইসলাম, মৌলানা এনামূল হক, মোঃ শহিদুল ইসলাম, শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান, আব্দুল ওয়াদুদকে পাশের উপজেলা তাড়াইল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানাযায়,মদনপুর শাহ সুলতান কমর উদ্দীন রুমি (রহঃ) মাজারের পাশের মাঠে স্বাদ গ্রুপের তিন দিনের ইজতেমায় যোগ দেয়ার জন্য হাফেজ ওহিদুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ এলাকায় দাওয়াতের কাজ করছিল। জুবায়ের গ্রুপের লোকেরা এতে বাধা দেয়। এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে এলাকায় উত্তেজনা চলছিল। বুধবার সকালে ওহিদুজ্জামানের নেতৃত্বে ১৬ জন মোটরসাইকেল যোগে দাওয়াতের উদ্দ্যেশে ফতেপুর রামগোপালপুর বড় বাড়ির মিশন চৌধুরীর বাড়িতে যায়।সেখান থেকে ফেরার পথে বাড়ির সামনে ভরাট পুকুরে পৌঁছা মাত্রই জুবায়ের গ্রুপের মুফতি ওমর ফারুকের নেতৃত্বে ১৫/২০ জন মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে দু-গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।

আহত হাফেজ মৌলানা ওহিদুজ্জামান জানান, দাওয়াতে বাধার কারণে আমি এ এলাকায় আসতে রাজি ছিলাম না। সকালে কয়েকজন সাথী মোটরসাইকেল যোগে এসে আমাকে নিয়ে মিশন চৌধুরীর বাড়িতে যায়। বাড়ি থেকে বের হওয়ার সাথে সাথেই মুফতি ওমর ফারুকের নেতৃত্বে ১৫/২০ জন আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমাদের একটি মোটরসাইকেল ব্যাপক ভাংচুর করা হয়েছে। ষড়যন্ত্র মূলক ভাবেই আমাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আমি আইনের আশ্রয় নিব।

মুফতি ওমর ফারুক জানান, গত সোমবার ফতেপুর হাটশিরা বাজার মসজিদে হাফেজ ওহিদুজ্জামাকে এলাকার পরিস্থিতি উত্ত্যক্ত দাওয়াতের কাজ বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ করি। কিন্তু তিনি তা অমান্য করে বুধবার সকালে মিশন চৌধুরীর বাড়িতে দাওয়াত নিয়ে আসেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে এর প্রতিবাদ জানান।

এ ব্যাপারে ওসি মোঃ রমিজুল হক জানান, তাবলীগ জামায়াতের দু-গ্রুপের সংঘর্ষের খবর পেয়েছি। কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(এএমএ/এসপি/এপ্রিল ১৭, ২০১৯)