মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : নেত্রকোনার মদন উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের আলমশ্রী গ্রামের বিবেক মিয়া হত্যা কান্ডের জের ধরে আসামি পক্ষের লোকজন বাড়িতে না থাকার সুযোগে বাদী পক্ষ তাদের বসত ঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে এক খবর পাওয়া গেছে।

জানা যায়, ১১ এপ্রিল উপজেলার আলমশ্রী গ্রামে দু-পক্ষের সংঘর্ষে বিবেক মিয়া নিহত হয়। এ ঘটনার পর আসামি পক্ষের লোকজন তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাড়ি ঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়। আসামিদের বাড়িতে লোকশূন্যতার সুযোগে বাদী পক্ষের লোকজন আসামি পক্ষের ৩৮ টি বসতঘর ভাংচুর করে ঘরের যাবতীয় মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায় বলে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ব্যাপরে সম্প্রতি সরজমিনে গেলে ২০/২৫ টি বসতঘর ভাংচুর, কোনো বাড়িতে শুধু ঘরের ছাল ঝুলে রয়েছে। ঘরের ভিতরে কোনো মালামাল নেই এবং বাড়িতে নারী শিশুসহ কোনো লোক পাওয়া যায়নি। আশেপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে কেহ এ ব্যাপারে মুখ খুলতে রাজি নয়। দায়িত্বরত কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে টহলরত অবস্থায় পাওয়া যায়।

এ সময় এস আই জাহিদ হাসান, এ এস আই হাফিজ উদ্দিনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এ দু-গ্রুপের দ্বন্দ চলে আসছে এবং উভয় পক্ষের মধ্যে দুই ডজন মামলা রয়েছে। পূর্বে থেকেই এদের বাড়ি ঘরের মালামাল সরিয়ে রেখেছে। গ্রামটি বড় হওয়ায় ভাংচুরে জড়িতদের আটক করা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা সর্বদাই টহলরত অবস্থায় আছি।

আসামি কামাল মোবাইল ফোনে জনান, আমরা বাড়িতে না থাকার সুযোগে আমার বসতঘরসহ ৩৮ টি পরিবারের বসতঘর ভাংচুর ও যাবতীয় মালামাল লুটপাট করে বাদী পক্ষের লোকজন প্রায় ৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে। এতে আমাদের সবগুলো পরিবারকে নিঃস্ব করে দিয়েছে। আমাদের লোকজনের ১১২ একর জমির বোরো ধান মাঠে রয়েছে। এ গুলো কেটে নেওয়ার পায়তারা চলছে। এ ব্যাপারে আমরা থানায় মৌখিক ভাবে জানিয়েছি।

হত্যা মামলার বাদী টিটনের চাচা আমিনুল ইসলাম জানান, এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তবে কে বা কাহারা ভাংচুরের ঘটনা ঘটাচ্ছে তা আমার জানা নেই।

ওসি মোঃ রমিজুল হক জানান,দু’পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে মামলা মোকদ্দমা চলে আসছে। এসব ঘর হত্যা কান্ডের আগেই ভাংচুর হয়েছে। তবে পুলিশ মোতায়নের পর কোনো ঘর ভাংচুর হয়নি।

(এএমএ/এসপি/এপ্রিল ১৮, ২০১৯)