রঞ্জন কৃষ্ণ পন্ডিত, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে সংখ্যালঘু শিশু ধর্ষণ চেষ্টার আসামী রাসেল মিয়াকে দেড় মাসেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। ওই শিশুটি উপজেলার নারান্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। এদিকে দেড় মাসেও আসামী গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিশুটির পরিবারের সদস্যরা। মামলা করে রয়েছেন আতঙ্কে।

জানা যায়, বখাটে রাসেল মিয়া (২৫) একই গ্রামের ফরমান আলীর ছেলে। শিশুটি গত ২৮ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সকালে বাড়ির থেকে বের হলে বখাটে রাসেল জোর করে পাশের জঙ্গলে নিয়ে যায়। ধর্ষণের উদ্দেশ্যে ছাত্রীর জামা পায়জামা ছিঁড়ে ফেলে। ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ছাত্রীটির শরীরের বিভিন্নস্থানে কামড়ে দেয়। এসময় মেয়েটির চিৎকার দিলে রাসেল পালিয়ে যায়।

বিষয়টি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে স্থানীয়ভাবে ধামাচাপা দেওয়ার প্রক্রিয়াও রয়েছে।

এলাকাবাসী জানান, বখাটে রাসেল প্রায়ই ওই স্কুল ছাত্রীসহ আরো মেয়েদের উত্যক্ত করেছে। তারা রাসেলের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেছেন।

এ বিষয়ে নারান্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আলো রানী দাশ বলেন, দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। যাতে এরকম ঘটনা ঘটাতে আর কেউ সাহস না পায়।

স্কুল ছাত্রীর পিতা কান্না বিজড়িত কন্ঠে বলেন আমরা গরীর নিরীহ মানুষ। আমার মেয়ের সাথে এই ঘটনাকারীর বিচার চাই। মামলা করায় আমাদের উপর বিভিন্নভাবে চাপও দেয়া হচ্ছে। আমরা আতঙ্কে আছি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কালিহাতী থানার এসআই আব্দুর রাজ্জাক বলেন, স্কুল ছাত্রীর দাদা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। পলাতক আসামীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বলেন, অভিযুক্ত আসামী রাসেলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

(আরকেপি/এসপি/এপ্রিল ১৮, ২০১৯)