নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁ সদর উপজেলার বনগাঁ নামাপাড়া গ্রামে বসতবাড়ির জমিতে বাড়ি নির্মান করাকে কেন্দ্র করে ভাংচুর ও মারপিট করেছে প্রতিপক্ষরা। এ ঘটনায় নওগাঁ সদর মডেল থানায় ১১জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। চাঁদা না দেয়ায় এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, বনগাঁ নামাপাড়া গ্রামের এচাহাক আলীর ছেলে জামেদুল ইসলাম তাদের ক্রয়কৃত জমি দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছে। কিন্তু ওই জমির ওপর টিনশেডের বাড়ি করে জামেদুল ও তার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল ও বসত করে আসছিল।

সম্প্রতি টিনশেডের বাড়ি ভেঙ্গে ইটের বাড়ি নির্মান করতে গেলে বনগাঁ যুবক সমিতির নামে চাঁদা দাবি করে একই গ্রামের মৃত আফসার আলীর ছেলে আতাউল, মৃত মহির উদ্দীনের ছেলে সাইফুল ইসলাম, শওকত আলীর ছেলে এরশাদ আলী, এনতাজুলের ছেলে সবুজ হোসেনসহ বেশ কিছু লোকজন। জামেদুল চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় উক্ত ব্যক্তিরা ক্ষীপ্ত হয়ে রবিবার (১৪ এপ্রিল) রাতে দেশীয় অস্ত্রেসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তার বাবা এচাহাক আলী ও মাসহ পরিবারের সকলকে গাছের সঙ্গে বেধে মারপিট ও বাড়িঘর ভাংচুর করে।

এ সময় তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে তারা বাড়িতে থাকা চাল, নগদ টাকা ও স্বর্নালংকারসহ সকল মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এতে করে প্রায় ৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করা হয়েছে। সেই সঙ্গে পরিবারের মেয়েদেরকে শ্লীলতাহানীর ঘটনাও ঘটায়। এ ঘটনার পর জামেদুল বাদী হয়ে ১১জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেছে।

জামিদুল ইসলাম জানায়, প্রতিপক্ষরা তার ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রাননাশের হুমকি প্রদান অব্যাহত রেখেছে। এমতাবস্থায় জামিদুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তহীনতায় রয়েছে। বর্তমানে তিনি এলাকায় ঢুকতে পারছেন না। প্রাণের ভয়ে বর্তমান তিনি এলাকা ছাড়া। তাই তিনি এর সুষ্ঠু বিচার চান প্রশাসনের কাছে।

এ ব্যাপারে শুক্রবার দুপরে বনগাঁ যুবক সমিতির সাধারন সম্পাদক সবুজ হোসেন জানান, চাঁদাবাজী ও শ্লীলতাহানীর ঘটনা সঠিক নয়। তবে ঘটনার রাতে কালবৈশাখীর ঝড়ে জামিদুলের বাড়ি ভেঙ্গে যায়। আর ক্লাবের ছেলেরা সামান্যতম বাড়িঘরও ভাংচুর করেনি। নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল হাই নিউটন জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

(বিএম/এসপি/এপ্রিল ১৯, ২০১৯)