বাগেরহাট প্রতিনিধি : পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রনালয়ে মন্ত্রী মো: শাহাব উদ্দিন বলেছেন, সুন্দরবন বনদস্যু মুক্ত ঘোষনার পরও যারা দস্যুতা করছে তাদের ধরা হবে। এছাড়া সুন্দরবনে যারা বিষ ও ফাঁদ
দিয়ে মাছ, হরিণ ও বাঘ শিকার করে তাদেরকে শুধু আইন দিয়ে দমন করা যাবে না, এজন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। সুন্দরবনকে সুরক্ষা করতে এ এলাকার মানুষহর বিশেষ করে সাংবাদিকদেও সহযোগিতা প্রয়োজন। সুন্দরবনকে বাঁচানো ও পরিবেশ বান্ধব রাখার জন্য তাদের মন্ত্রনালয় দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে।

শুক্রবার দুপুরে বাগেরহাটের মোংলার সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী। এরপর বন মন্ত্রী সুন্দরবনের হারবাড়িয়া ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র পরিদর্শন কালে করমজল বন্যপ্রানী প্রজনন কেন্দ্র জন্ম নেয়া ৪টি লবন পানি প্রজাতির কুমির সুন্দরবনের পশুর নদীতে অবমুক্ত করেন।

বিকেলে বন মন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের সিন্দুরতলা গ্রামের নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, সুন্দরবনসহ সন্নিহিত এলাকার নদী ভাঙ্গন ঠেকাতে ও সুন্দরবন এলাকার মানুষের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে তার মন্ত্রনালয় কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান বন মন্ত্রী।

সুন্দরবন ও বন নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শনকালে মন্ত্রী শাহাব উদ্দিনের সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, বন সচিব আব্দুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী, বন বিভাগের খুলনাঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মো. আমির হোসাইন চৌধুরী, বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. মাহমুদুল হাসান, চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মো. শাহিন কবির, মোংলা উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রবিউল ইসলাম ও করমজল
পর্যটন এবং বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির।

(এসএকে/এসপি/এপ্রিল ১৯, ২০১৯)