সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) : নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমিটির প্রথম সভায় যোগদান করে সভার সভাপতি নেত্রকোনা-৩ আসনের এম.পি অসীম কুমার উকিল বলেছেন, স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মসূচির বিষয়ে জিরো টলারেন্স। কোন প্রকার অনিয়ম দূর্নীতি ও কর্তব্যে অবহেলা সহ্য করা হবে না।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কণ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে সঠিক স্বাস্থ্য সেবা দিতে কোটি কোটি টাকা খরচ করে যাচ্ছেন। চিকিৎসা সেবার ব্যাপারে কোন অজুহাত নয় আমাদের যা আছে তা দিয়েই জনগণের সঠিক সেবা দিতে হবে। মনে করতে হবে হাসপাতালে যে সব রোগীরা আসেন তারা খুবই অসহায়। তাদের আর্থিক সংগতি নেই বলেই সরকারি চিকিৎসা নিতে আসেন। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের ভাবতে হবে এসব রোগীরাই দেশের বড় সম্পদ। জনগণকে সঠিক সেবা না দিয়ে নিজেদের অর্থোপার্যনের চেষ্টা করলে সেবার বিষয়টি নষ্ঠ হয়ে যায়। চিকিৎসকরা ছাত্রজীবনেই প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছেন, তারা মেডিক্যালে লেখাপড়া শেষ করে গ্রামে গিয়ে জনগণের চিকিৎসা সেবা দিবেন। যা সমস্যা আছে তা আমাকে তা আমাকে জানাবেন আমি সরকারের উচ্চ পর্যায়ে কথা বলে এসবের সমাধান করব।

অসীম উকিল আরো বলেন, যার যে দায়িত্ব আছে তা সঠিকভাবে পালন করবেন আমি আপনাদের পাশে থাকবো। বৃহস্পতিবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের নানা অনিয়ম দূর্নীতির চিত্র তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নূরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার মোঃ বজলুর রহমান, স্বাস্থ্য কমিটির সদস্য শহীদুল হক ফরিক বাচ্চু প্রমুখ।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তার বক্তব্যে বলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জীনাত সাবাহ যদি এক মাসে ৩ থেকে ৪ দিন অফিস করেন তা হলে তিনি অন্যের অনিয়ম দূর্নীতি কেমন করে রোধ করবেন? স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সহ চিকিৎসক যারা আছেন তারা নিয়মিত অফিস করেন না, কেন্দুয়ায় যোগদান করে এখান থেকে শুধু বেতন নেন অথচ অন্য স্থানে প্রেশনে বদলি হয়ে বিভিন্ন শিক্ষা ও কাজে ব্যস্থ্য থাকেন। উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে মদ জুয়ার কারখানায় পরিনত হয়েছে। এসব দেখার কেউ নেই।

তিনি এসব অনিয়ম দূরীকরনের জন্য এম.পি অসীম কুমার উকিলের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল-ইমরান রুহুল ইসলাম স্বাস্থ্য বিভাগের অনিয়ম দূর্নীতি দূর করে আরো আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালনের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সহযোগিতা কামনা করেন।

সভা শেষে হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে ঘুরে দেখে অপারেশন রোমে গিয়ে পাখির বিষ্টা ও বাসা দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন এম.পি অসীম কুমার উকিল।

(এসবি/এসপি/এপ্রিল ১৯, ২০১৯)