মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুর জেলা পরিষদের সদস্য আমেনা খাতুন বেবির পৌরসভার ২নং শকুনী এলাকার বাসা থেকে শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে গৃহকর্মী রুসি আক্তারকে (২৫) ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে সদর মডেল থানা পুলিশ লাশ সনাক্ত করে মর্গে প্রেরণ করে।

পুলিশ হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলা পরিষদের সদস্য আমেনা খাতুন বেবি দূর সম্পর্কের আত্মীয় রুসিকে আট বছর বয়সের সময় তার বাসায় নিয়ে আসে। পরিবারের সদস্যের মত করেই দেখতো রুসিকে। বিকেল চারটার দিকে বাড়ির পাশের লোকজন ফ্যানের সাথে রুসিকে ঝুলতে দেখে দরজা ভেঙ্গে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত রুসি ফরিদপুরের নগরকান্দার কাইজানি এলাকার শাজাহান মোল্লার মেয়ে।

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ডাক্তার মো. রিয়াদ মাহমুদ বলেন, মেয়েটিকে জরুরী বিভাগে নিয়ে আসলে আমরা চেকআপ করে দেখি হাসপাতালে আনার পূর্বেই মারা গেছে।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার এস.আই রহমত মিয়া বলেন, হাসপাতালে আনার পর আমরা খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে লাশ সনাক্ত করি। লাশের কলায় কালো দাগ রয়েছে। এটা হত্যা না আত্মহত্যা তা ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরে বলতে পারবো।

মাদারীপুর জেলা পরিষদের সদস্য আমেনা খাতুন বেবি বলেন, আমি রুসিকে আট বছর বয়স থেকেই লালন পালন করার জন্য আমার বাসায়ে নিয়ে আসি। আমার বাসায় মেয়ের মত করে ওকে রাখতাম। আমি ঢাকাতে ছিলাম। বিকেলে ঢাকা থেকে মাদারীপুর আসার পথে লঞ্চে বসে শুনি রুসি আত্মহত্যা করেছে।

(এএসএ/এসপি/এপ্রিল ১৯, ২০১৯)