স্টাফ রিপোর্টার : বেতনের দাবিতে রাজধানীর বাড্ডা লিংক রোড়ের সড়ক ৩০ মিনিট অবরোধ করে রাখেন গার্মেন্টস শ্রমিকেরা। সড়ক অবরোধের কারণে রাস্তায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।

শনিবার দুপুর পৌনে ১২টা থেকে সোয়া ১২টা পর্যন্ত বাড্ডা লিংক রোড়ের মধ্যে বাড্ডার দিকের সড়কের এক পাশ অবরোধ করে রাখেন স্টার গার্মেন্টস প্রাইভেট লিমিটেডের প্রায় ৮০০ কর্মী। পরে পুলিশের আশ্বাসে তারা সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন।

শ্রমিকদের দাবি, প্রতি মাসে গার্মেন্টস মালিক তাদের পাওনা মাসিক বেতন দিতে গড়িমসি করেন। প্রতি মাসের বেতন নির্ধারিত তারিখে পরিশোধ করেছে না। তাই তারা বাধ্য হয়ে আজ সড়ক অবরোধ করেন। এদিকে আজ বেতন দেয়ার কথা থাকলেও গার্মেন্টস মালিক পক্ষের কেউ আসেননি।

অবরোধের সময় নতুন বাজার থেকে মতিঝিল যাচ্ছিলেন ব্যবসায়ী মালিক লাল। তিনি বলছিলেন, শ্রমিকের সড়ক অবরোধের কারণে ৩০ মিনিট ধরে কোনো গাড়ি চলছে না। জরুরি কাজে মতিঝিল যাচ্ছি। কিন্তু রাস্তায় অবরোধ, আটকে আছি।

পথযাত্রী রুপা বলেন, অবরোধের কারণে রাস্তায় চলা খুব কঠিন হয়ে গেছে।

অবরোধের বিষয়ে গার্মেন্টস কর্মীরা বলছেন, চলতি বছরের মার্চ মাসের বেতন দিতে মালিকেরা গড়িমসি করছেন। শুধু তাই নয় প্রায় ৫ বছর ধরে মালিকেরা প্রতি মাসে নিয়মিত বেতন দিতে গড়িমসি করে আসছেন। আজ নয় কাল এভাবে দিনের পর দিন ঘুরাচ্ছেন।

তানিয়া নামে এক গার্মেন্টসকর্মী বলেন, আমরা পেটের দায়ে গার্মেন্টসে চাকরি করি। মাসিক বেতন নির্ধারিত সময়ে পাই না। আজ মাসের ২০ তারিখ।বাড়ি ভাড়া এখনও দেইনি। মালিক পক্ষ আমাদের বেতন এখনও দেয়নি।

গার্মেন্টসকর্মী সোহেল বলেন, এপ্রিলের ২০ তারিখ চলছে। আমরা এখনও মার্চ মাসের বেতন পাইনি। বেতন না পাওয়ায় বাড়ি বাড়ার টাকা এখনও দিতে পারিনি। খাওয়ার খরচ নেই। ধার করে চলছি। আর পারছি না। তাই আজ বাধ্য হয়ে বেতনের দাবিতে সড়কে নেমেছি।

বাড্ডা থানার পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম বলেন, স্টার গার্মেন্টসের প্রায় ৮০০ কর্মী বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেন। পৌনে ১২টা থেকে সোয়া ১২ টা পর্যন্ত তারা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। আমরা তাদের আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ তুলে নেন।

‘প্রতি মাসে বেতন পাওয়া শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার। মালিক তাদের বেতন না দিয়ে ঠিক করছেন না। আমরা মালিকের সঙ্গে বেতনের বিষয় কথা বলেছি। মালিক আমাদের নিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে বসবেন। আশা করি, ভালো একটা সমাধান হবে',- বলেন তিনি।

(ওএস/এসপি/এপ্রিল ২০, ২০১৯)