বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার পল্লীতে ছাত্রী নিবাসে থাকা তৃতীয় শ্রেণীর এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের পর আলামত নষ্টের অভিযোগে সরাফপুর কারামতিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ শেখ ওয়ালিউর রহমানকে তার বাড়ী থেকে শুক্রবার রাতে পুলিশ আটক করেছে। আটক মাদ্রাসা অধ্যক্ষকে আজ শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে পুলিশ ধর্ষক মুদি দোকানী ফেরদাউস মোল্লা (১৯) আটক করে। অন্য দিকে ধর্ষনের শিকার তিতৃয় শ্রেনীর ছাত্রীর ডাক্তারী (মেডিকেল টেষ্ট) শনিবার দুপুওে বাগেরহাট সদও হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে।

রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান জানান, তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রীকে ধর্ষনের ঘটনায় তার মামা আজিজুর রহমান বাদি হয়ে শুক্রবার ৪ জনকে আসামী করে নারী শিশু আইনে মামলা করেছে। মামলা দায়েরের পর ধর্ষক ফেরদাউস মোল্লা, মাদ্রাসা অধ্যক্ষ শেখ ওয়ালিউর রহমানকে আটক করা হয়েছে।

আটক দুই আসামীকে আদালতে পাঠিয়ে ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। আদালত দুই আসামীকে কারাগাওে পাঠিয়ে রবিবার রিমান্ড আবেদনের শুনানীর দিও ধার্য করেছে। মাদ্রাসার মহিলা হোস্টেল সুপারসহ অন্য দুই আসামীকে আটকে পুলিশের অভিযান চলছে। রামপাল থানায় মামলা দায়ের করেছে শিশুটির মামা আজিজুর রহমান ।

এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজ আফজালের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে ।
বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার শরাফপুর কারামতিয়া ফাজিল মাদ্রাসার হোস্টেলে থেকে লেখাপড়া করা তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রীর সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে মাদ্রাসার সামনে মুদী দোকানী ফেরদাউস মোল্লা। মুদী দোকানী গত ১১ এপ্রিল রাতে মাদ্রাসা ছাত্রীটিকে ফুসলিয়ে দোকনে নিয়ে ধর্ষণ করে।

ধর্ষণের আলামত নষ্ট করে পর অসুস্থ্য হয়ে পড়া ছাত্রীটির কোন চিকিৎসা না করিয়ে তড়িঘড়ি করে পর দিন শিশুটিকে তার মামা বাড়ী বাগেরহাটের ফকিরহাটে পাঠিয়ে দেয়। শিশুটি মামা বাড়ী থেকে চিকিৎসা শেষে কিছুটা সুস্থ্য হলে এক সপ্তাহ পর তার মামা আজিজুর রহমান বাদি হয়ে শুক্রবার ৪ জনকে আসামী করে রামপাল থানায় নারী শিশু আইনে মামলা দায়ের করেন।

(এসএকে/এসপি/এপ্রিল ২০, ২০১৯)