নড়াইল প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়ায় ২য় শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করা হলেও পুলিশ ওই ধর্ষককে আটক করতে পারে নাই। গত শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার সত্রহাজারী গ্রামে এ শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১০ বছর পুর্বে নড়াইল সদর উপজেলার পলইডাঙ্গা গ্রামের পিকুল কাজীর সঙ্গে লোহাগড়া উপজেলার সত্রহাজারী গ্রামের সামসেল শেখের মেয়ে রোজিনা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে একটি কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহন করে।

পরে রোজিনার সাথে স্বামী পিকুল কাজীর বিচ্ছেদ হওয়ার পর লোহাগড়ার সত্রহাজারী গ্রামের সাইফার শেখের ছেলে সুজন শেখের সাথে ফের রোজিনার বিয়ে হয়। এ সময় রোজিনার পূুর্বের সংসারের মেয়ে ওই শিশু শিক্ষার্থী তার নানা সামসেল শেখের কাছে থেকে সত্রহাজারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২য় শ্রেনীতে পড়াশুনা করে আসছিল। এ দিকে ওই শিশুর ওপর কুনজর নজর পড়ে তার সৎ বাবা সুজন শেখের। এর জের ধরে গত শুক্রবার দুপুরে ওই শিশু (৮) বাড়ির পার্শ্বে বাঁশবাগানে জ্বালানী সংগ্রহ করতে যায়। এসময় ওৎ পেতে থাকা ওই লম্পট সৎ পিতা সুজন শেখ তাকে ওড়না দিয়ে মুখ বেঁেধ জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে লম্পট পালিয়ে যায়। বাড়ি ফিরে ধর্ষণের ঘটনা ওই শিশু তার অভিভাবকদের অবহিত করে। গত শনিবার রাতে ধর্ষিত শিশুর মা বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও লোহাগড়া থানার এসআই মিল্টন কুমার দেবদাস জানান, নড়াইল সদর হাসপাতালে শনিবার ধর্ষিতার ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। রোববার দুপুরে ওই শিশু জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট নয়ন বড়ালের আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে। তবে পুলিশ ওই ধর্ষককে আটক করতে পারে নাই।

রবিবার দুপুরে লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রবীর কুমার বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষককে আটকের চেষ্টা চলছে।

িআরএম/এসপি/এপ্রিল ২১, ২০১৯)